নিজস্ব প্রতিবেদক :: দু’দফায় ভিসা না হওয়ায় নাসা যেতে না পারা টিম অলিককে নতুন করে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।নাসায় সোমবার অনুষ্ঠিত স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জের ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল দলটির।অনুষ্ঠানে টিম অলিক আসতে না পারায় দু:খ প্রকাশ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এই মহাকাশ সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
তারা জানান, যেহেতু টিম অলিক এ বছর আসতে পারেনি তাই নাসা থেকে টিম অলিককে আগামী বছরের (২০২০) বিজয়ী দলগুলোর সঙ্গে আরও একবার সংবর্ধনা দেওয়া হবে।ইতোমধ্যে দলটি নাসার এবারের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছে। এতে নিজেদের প্রকল্প ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরে তারা।
‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের দুই হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টিম অলিক। দলটি বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
পরে দলটিকে এবং তাদের মেন্টরদের মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যাবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু দু’দুবার চেষ্টার পরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় নাসার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি তারা।
নাসার এবারের এই অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভিডিও বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক ড. সোবহানা এস গুপ্তা, অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার ক্যালি বার্ক, ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিস্ট অ্যান্ড্রু ডেনিও।
এছাড়া ছিলেন নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, অন্য ক্যাটাগরির বিজয়ী ফিলিপিন, কানাডা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনার দল।অনুষ্ঠানে ড. সোবহানা এস গুপ্তা বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখান কি করে সামনের দিনগুলোতে চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্টগুলো ফান্ড রেইজ ও স্কেলেবিলিটিতে কাজ করবে।অ্যান্ড্রু ডেনিও আলোচনা করেন উইনিং টিমর সদস্যরা কিভাবে ভবিষ্যতে নাসায় চাকরি এবং ইন্টার্নশিপে কাজ করতে পারে। তিনি নিজেও প্রাক্তন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিজয়ী বলে উল্লেখ করেন।
ক্যালি বার্ক এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কী করে ভবিষ্যতে রকেট লঞ্চ নিয়ে কাজ করতে পারে, নাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কি করে একসঙ্গে হতে পারে তা নিয়ে ওই সভায় আলোচনা হয়। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় কি করে স্পেস সায়েন্স নিয়ে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ করা যায় কি না তা নিয়েও এতে আলোচনা হয়।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহবায়ক দিদারুল আলম এবং যুগ্ম-আহবায়ক আরিফুল হাসান এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কি করে আরও ভালো ও ফলপ্রসূ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।দিদারুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় গত চার বছর ধরে বেসিস নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে আয়োজন করছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। প্রকল্প বাছাই, ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন আয়োজন, ফলাফল প্রেরণ, চূড়ান্ত পর্যায়ের বিচারপর্ব সফলভাবে আয়োজনে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়।
বাংলাদেশে কিভাবে তরুণ উদ্ভাবক, উদ্যেক্তাদের সাহায্য করা হচ্ছে, সরকারি-বেসরকারিভাবে কি কি প্রকল্প চলছে অনুষ্ঠানে সেটি তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি দল।
বিডি প্রেস রিলিস / ২৪ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫