নিজস্ব প্রতিবেদক :: গত ২৯ ও ৩০ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ‘প্রাইমারি ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি’ বা শিশুদের জন্মগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব সমস্যা নিয়ে সেমিনার।
উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ আবু সালেহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন উক্ত বিষয়ের রোগ নির্ণয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক শিরিন তরফদার।
উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুইশত শিশু-চিকিৎসক ও শিশু-চিকিৎসায় উচ্চতর পাঠরত চিকিৎসকরা। বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক চৌধুরী আলি কওসর, অধ্যাপক আহমেদ আবু সালেহ, অধ্যাপক হুমায়ুন সাত্তার প্রমুখ।
শিশুদের প্রাইমারি ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি একটি মারাত্মক অসুখ, যার নির্ণয় হতেই অনেক সময় চলে যায়। এই নীরব ঘাতক রোগটি প্রতিরোধ করবার একমাত্র উপায় জন্মের পর থেকে চিকিৎসক নির্দেশিত বিভিন্ন সময়ে নির্দ্দিষ্ট রক্ত-পরীক্ষা করে যাওয়া। এই রোগে জন্মগতভাবে শিশুদের অনাক্রম্যতা অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, দেখা যায় জন্মের পর থেকেই শিশুটি বিভিন্ন রোগে ভুগছে। সেই সব রোগের কড়া চিকিৎসা করতে গিয়ে শিশুটি দুর্বল হচ্ছেই, উপরন্তু আসল রোগ চিহ্নিত না হবার ফলে গোড়ায় গিয়ে রোগ নির্মুল সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শিশু-চিকিৎসক সমাজেই এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা আশু প্রয়োজন। নিজের বক্তব্যে অধ্যাপক তরফদার সে কথাই তুলে ধরেন। এক ঘন্টারও বেশি সময় নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী শিশু চিকিৎসক সমাজের কাছে তিনি তুলে ধরে এই রোগের প্রকৃত রোগ-নির্ণয়ের খুঁটিনাটি। বর্তমানে ফ্লো-সাইটোমেট্রি প্রযুক্তির সাহায্যে এই রোগ-নির্ণয় করলেও, অচিরেই তিনি পিসিআর ভিত্তিক আরো নির্দিষ্টভাবে রোগ নিরূপণের পদ্ধতি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে রোগমুক্ত নবজাতক উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
ফ্লো-সাইটোমেট্রি ও পিসিআর প্রযুক্তিকে বাংলাদেশে আনয়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলা প্রায় ৪০ বছরের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান ওভারসিজ মার্কেটিং কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড এই দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল। উক্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী নির্দেশক মারুফ আখতার মান্নান তাঁর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বক্তব্যে জানান, যে তাঁরা অতীতের মতই ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি আনয়নের ক্ষেত্রে, তার প্রয়োগশৈলী প্রশিক্ষণের বিষয়ে আরো দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যেন আধুনিকতম প্রযুক্তির সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টা করবেন।
এ দিনের সভায় সকলেই অঙ্গীকার করেন যে দেশের দরিদ্রতম শিশুটিকেও আধুনিক চিকিৎসার আলোয় এনে সুস্থ ও সমৃদ্ধ এক আলোকোজ্জ্বল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
পরের দিন এই চিকিৎসার রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত ফ্লো-সাইটোমেট্রি প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নেন সাত জন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন ও বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই প্রযুক্তির এইরকম হাতে কলমে প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে এই প্রথম বলে দাবি করেন ওভারসিজ মার্কেটিং কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রশিক্ষক নীলোৎপল। তাঁরা ভবিষ্যতেও এইরকম প্রশিক্ষণ শিবির চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে উন্নত ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলা, যাতে বিদেশীদের উপর নির্ভর না করেই স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের চিকিৎসা-প্রযুক্তি ক্ষেত্র উজ্জ্বলতর আলোকবৃত্তের দিকে।
বিডি প্রেস রিলিস / ০৮ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১০th, ২০২৫
Posted on মে ১০th, ২০২৫