নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ ১৮ এপ্রিল বিশ্ব অ্যামেচার রেডিও দিবস। ১৯২৫ সালের এই দিনে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক অ্যামেচার রেডিও ইউনিয়ন (আইএআরইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর প্রতিবছর এই দিনটিতে বিশ্বব্যাপী অ্যামেচার রেডিও দিবস হিসেবে পালন করেন হ্যামরা। এবার আইএআরইউ-এর ৯৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটিকে উদযাপন করতে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দিনটি উদযাপন করতে অনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচী না রাখলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির তালিকাভূক্ত সংগঠন বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগ (বিএআরএল) বিস্তারিত কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এছাড়াও অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এআরএসবি) সেমিনার, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
বিএআরএল-এর বিশ্ব অ্যামেচার রেডিও দিবস ২০১৯ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘দিনটি উদযাপন করতে
বিএআরএল একটি আলোচনা সভা এবং বেতার যন্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বিকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে শতাধিক অ্যামেচার রেডিও অপারেটর অংশ নেবেন’।
বিএআরএল অনুষ্ঠানে বিশ্ব অ্যামেচার রেডিও দিবস ২০১৯ নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।
অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এআরএসবি)-এর যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপ কুমার ভৌমিক বলেন, ১৯২৫ সালের এই দিনে ফ্রান্সে আইএআরইউ-এর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মূলত এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী হ্যামদের একটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়। একই সঙ্গে হ্যাম চর্চার পথও সুগম হয়। আমাদের কাছে দিনটি অত্যন্ত আনন্দের। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নতুন পুরাতন হ্যামদের নিয়ে সেমিনার, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এআরএসবি। সান্ধকালীন এই অনুষ্ঠানটি সকল হ্যামদের জন্য উন্মুক্ত।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রচলিত টেলিকম নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত হয়। এ সময় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধারকারীদের সাহায্যের জন্য রাষ্ট্রের অঘোষিত দূত হিসেবে কাজ করেন একজন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বা হ্যাম।
বাংলাদেশে অ্যামেচার রেডিও চর্চা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ওই বছর সাবেক বাংলাদেশ তরঙ্গ ও বেতার বোর্ডের ১৮ তম সভায় দেশে প্রথম অ্যামেচার রেডিও সার্ভিস চালু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ চার শতাধিক লাইসেন্স প্রাপ্ত অ্যামেচার রেডিও অপারেটর আছেন। পরীক্ষার মাধ্যমে এই রেডিও ব্যবহারের লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি।
অ্যামেচার রেডিও সাধারণত নির্দিষ্ট বেতার তরঙ্গে অবাণিজ্যিকভাবে তথ্য আদান প্রদান, গবেষণা, ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং জরুরি অবস্থায় ব্যবহৃত একটি টেলিযোগাযোগ সার্ভিস।
‘অ্যামেচার’ শব্দটি সাধারণত আর্থিক সংশ্লিষ্টতাবিহীন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহী ব্যবহারকারীকে বাণিজ্যিক ব্রডকাস্টিং, জননিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থা অথবা পেশাদার টু-ওয়ে সার্ভিস হতে পৃথক করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা জরুরি অবস্থায় অ্যামেচার রেডিও সার্ভিস টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে ভূমিকা রাখে। অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের হ্যাম বলা হয়। প্রত্যোক হ্যামের একটি ইউনিক ‘কল সাইন’ রয়েছে। এই কল সাইন দিয়েই তিনি রেডিওর মাধ্যমে অন্য হ্যামদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
বিডি প্রেস রিলিস/ ১৮ এপ্রিল ২০১৯/ এমএম
Posted on অক্টোবর ১১th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৫th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৯th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪