নিজস্ব প্রতিবেদক:: বৈশ্বিক প্রযুক্তির বাজারে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বেড়েই চলেছে। বিশ্ব সেমিকন্ডাক্টর অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে আয় পৌঁছেছে ৪৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন ডিভাইসের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আর এসব ডিভাইসগুলোর জন্য চিপের চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং দেশীয় যে কোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ তৈরির লক্ষ্যে চিপ প্রস্তুতকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বাহিরের চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন না হয়ে দেশেই চিপ প্রস্তুত করতে পারলে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর আয়ে বাংলাদেশও অবদান রাখতে পারে।
সিলিকনভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টেল দুই দশকের বেশি সময় ধরে একক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। এছাড়াও কোরিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এবং চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন চিপ তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিপুল সম্ভাবনার সুযোগ।
এই সম্ভাবনা নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে একটি ক্যারিয়ার টকের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলের সাবেক কর্মী আলিয়া সাফাকাত।
আলিয়া সাফাকাত এখন চিপ ডিজাইন তৈরি এবং বাংলাদেশকে একটি সিলিকন ডেল্টায় পরিণত করতে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে তাহই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আলিয়া সাফাকাত বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে তথ্য ভিত্তিক বিপ্লব যেখানে বিশ্বদরবারে টিকে থাকার জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্তি হবে একটি বড় মাধ্যম। বাংলাদেশকে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উন্নত করে তুলতে উচ্চমানের শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা জরুরী।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পের বিশাল অবদান রয়েছে। তুলনামূলকভাবে যেখানে বিশ্ব জুড়ে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প প্রাধান্য পেয়ে আসছে সেখানে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য। বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই শিল্পে আগ্রহী করে তুলতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
সাফাকাত বলেন, এই শিল্পে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। নাহলে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনার কিংবা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে যেখানে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে জাপান, চীন, তাইওয়ানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের বিভাগীয় প্রধান, বিলকিস জামাল ফেরদৌসি বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে শিক্ষার্থীদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে আমরা সেমিকন্ডাক্টরের বৈশ্বিক বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবো।
একই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক অলক কুমার সাহা বলেন, এই শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায় থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান সিদ্দিকী বলেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সম্পর্কে আগে তার ধারণা থাকলেও এর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে তার ধারণা অস্পষ্ট ছিল। এই আয়োজন তাকে এই খাতে আরো আগ্রহী করে তুলেছে।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পায়নে সংযুক্ত করতে পারলে তারা দেশের জিডিপি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আমাদের বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা নতুন নতুন গবেষণা ও আবিষ্কারে এই শিল্প কে কাজে লাগাতে পারবে বলে মনে করেন আয়োজনের বক্তারা।
নিজস্ব পণ্যে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে এই শিল্পে আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে নীতি-নির্ধারকদের।
আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
তিনি বলেন, কিছু দক্ষ লোক তৈরি করতে পারলে সেমিকন্ডাক্টরি শিল্পে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো যাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসতে সেমিকন্ডাক্টরি শিল্প হতে পারে একটি বড় মাধ্যম।
বিডি প্রেস রিলিস/ ২১ জুন ২০১৯ /এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫