নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। সেসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বৈশ্বিক ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্যের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন রফতানি বাজার। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাতে ফ্রিজ রফতানি শুরু করেছে ওয়ালটন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি বহুজাতিক ব্র্যান্ডটির ফ্রিজ রফতানি দেশের তালিকায় যুক্ত হলো শ্রীলঙ্কা। ওয়ালটনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট শাখার এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান রকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, গত ৪ মে শ্রীলঙ্কার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের কাছ থেকে রফতানি আদেশ পায় ওয়ালটন। যেটির শিপমেন্ট হয়েছে গত মাসে। প্রাথমিকভাবে নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর রফতানি হয়েছে। দেশটিতে শিগগিরই ফ্রিজের পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্য যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও ফ্রিজ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ জানান, বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটনই প্রথম শ্রীলঙ্কায় ফ্রিজ রফতানি করেছে। আমদানিকারকের দেওয়া ডিজাইন, মান ও অন্যান্য শর্তাবলী অনুযায়ী অর্থাৎ ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) এর আওতায় ফ্রিজ তৈরি করেছে ওয়ালটন। শ্রীলঙ্কার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডটি রফতানিকৃত ফ্রিজের নিখুঁত ফিনিশিং, ডিজাইন ও মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তারা আগামী এক বছর কয়েকটি ধাপে ওয়ালটনের তৈরি বিপুল পরিমাণ ফ্রিজ আমদানি করবে বলে জানিয়েছে।
ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রধান এডওয়ার্ড কিম বলেন, শ্রীলঙ্কায় ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের সম্ভাবনাময় এক বিশাল বাজার রয়েছে। দুই কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশটি মাথাপিছু আয় ও উৎপাদনশীলতার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে। দেশটির বাজারে ওয়ালটনের তৈরি পণ্য দ্রুত গ্রাহকপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, চলতি বছর রফতানি বাজার সম্প্রসারণে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে ওয়ালটন। টার্গেট নিয়েছে- এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির করার। সেজন্য তৈরি করেছে কৌশলগত রোডম্যাপ। নিয়েছে বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামেও পণ্য তৈরির মাধ্যমে রফতানি বাজার সম্প্রসারণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ওয়ালটন। এর ফলে শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন, জার্মানিসহ বেশকিছু নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ব ইলেকট্রনিক্সের বাজারে সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিজনেস ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করেছে ওয়ালটন। সেখানে নিয়োগ দিচ্ছে দেশি-বিদেশি বিপণন বিশেষজ্ঞদের। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্লোবাল আরএনডি সেন্টারের পাশাপাশি শাখা অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
বিডি প্রেসরিলিস / ০৮ আগস্ট ২০১৯/এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫