নিজস্ব প্রতিবেদক :: ইয়াং চেঞ্জ মেকারস কর্মসূচির বৈশ্বিক সংস্করণের জন্য প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ অশোকা ইয়াং চেঞ্জমেকারস-এর প্রথম দলের সদস্যদের মনোনীত করেছে অশোকা ইনোভেটরস ফর দ্য পাবলিক।সামাজিক উদ্যোক্তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ককে সহায়তা করে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি। বাংলাদেশে অশোকার যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তারই স্মরণে ব্র্যাকের অংশীদারিত্বের সম্প্রতি রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অশোকার ‘এভরিওয়ান আ চেঞ্জমেকার’ ফ্রেমওয়ার্কের অংশ হিসেবে সংস্থাটির ৯০টি দেশের নেটওয়ার্কের মধ্যে পঞ্চম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এ উদ্যোগ উদ্বোধন করা হয়। অন্য চারটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত।
ইনফ্লুয়েন্সার ও কো-লিডার হিসেবে তরুণদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে কাজ করে ইয়াং চেঞ্জ মেকারস কর্মসূচি। বিশিষ্ট জুরিদের একটি প্যানেল মেধাবী তরুণদের নির্বাচিত করেছে যারা নারী ও শিশু অধিকার, স্বাস্থ্যবিধি, মাদকের অপব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে। তারা শুধুমাত্র সচেতনতা তৈরিতেই কাজ করেনি পাশাপাশি তাদের সমাজ ও আশেপাশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছে।
অশোকার ইয়াং চেঞ্জমেকারস-এর জুরি প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ, প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তি এবং সামাজিক উদ্ভাবক যারা এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য অনুধাবন করে এ পদ্ধতির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার লক্ষ্যে এবং এ প্ল্যাটফর্মকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরে কাজ করছেন। জুরি প্যানেল ‘এভরিওয়ান আ চেঞ্জমেকার’ আন্দোলন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথ নিয়ে গত শনিবার একসাথে হয়ে আলোচনা করে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ অশোকা ইয়াং চেঞ্জমেকারস হিসেবে উৎসাহী টিনএজারদের শনাক্ত ও নির্বাচিত করায় বিশ্বাসী অশোকা। বাংলাদেশের কিশোর ও তরুণ যাদের একটি প্রজন্মের ওপরে প্রভাব রাখার সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি, যারা চেঞ্জমেকার হওয়ার ব্যাপারেও উৎসাহী, এমন কিশোর ও তরুণদের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে অশোকা।
এ নিয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে চেঞ্জমেকারে পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতির মধ্যেই এ উদ্যোগের সম্ভাবনা নিহিত। এর মাধ্যমে আমরা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে শ্রদ্ধা জানাই, যার লক্ষ্য ছিলো সবার জন্য একটি নতুন বিশ্ব তৈরি করা এবং বিশ্বজুড়ে চেঞ্জমেকার গড়ে তোলা এ বিষয়টি যথার্থ করে তুলবেন।
বাংলাদেশ অশোকার ৯০ জনের বেশি ফেলো রয়েছে যারা অশোকা ফেলোশিপকে সহায়তা দিয়ে আসছেন। অশোকার বাংলাদেশের ফেলোদের মধ্যে রয়েছেন শাইখ সিরাজ, রুনা খান, অনন্য রায়হান, এজাজ আহমেদ, সাজিদা রহমান, সেবাস্তিয়ান গ্রোহ সহ অনেকেই। ফেলোদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদও। অশোকার ইয়াং চেঞ্জমেকারা (২০ বছরের কম বয়সী চেঞ্জমেকার) তাদের প্রজন্মের অশোকা ফেলোর সমতুল্য।
এ বিষয়ে অশোকা ইয়াং চেঞ্জমেকারস- এর গ্লোবাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর যশবীর সিং বলেন, আমরা ইতিহাসের একটি বিশেষ মুহূর্তে বাস করছি। পরিবর্তনই এ বিশ্বের নিয়ামক। অশোকা বিশ্বাস করে, এমন বিশ্বে বেড়ে ওঠার জন্য যেখানে প্রত্যেক তরুণেরই চেঞ্জমেকার হিসেবে গড়ে ওঠা প্রয়োজন। একজন চেঞ্জমেকার সবার ভালোর স্বার্থে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। তরুণরা যেনো জীবনের শুরুর দিক থেকেই পরিবর্তন সূচনা করতে পারে তাই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
এখানে তরুণ আবেদনকারীরা বৈশ্বিক একটি প্ল্যাটফর্মে পরিচিত হবে যেখানে তাদের কো-লিডারশিপ বিষয়ক বুট ক্যাম্প, মিডিয়া পার্টনারশিপ, পাবলিক স্পিকিং প্ল্যাটফর্ম, এক্সপোজার ভিজিট, কৌশলগত মৈত্রী সহ নানা বিষয়ে জানা ও অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। তাদের বাংলাদেশের যুব সংস্কৃতির জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিডি প্রেসরিলিস /২৯ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১০th, ২০২৫