নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রকৃত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ দুধ উৎপাদনে খামারিদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে নিজস্ব চুক্তিভিত্তিক চাষীদের পুরস্কৃত করেছে প্রাণ ডেইরী লিমিটেড।সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খামার পরিচালনা, দীর্ঘ সময় ধরে প্রাণ ডেইরীকে দুধ প্রদান ও প্রাণ ডেইরীর সহযোগিতায় ক্ষুদ্র খামার থেকে বৃহৎ খামার গড়ে তোলাসহ পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রাণ ডেইরীর চুক্তিভিত্তিক খামারিদের মধ্যে ১৫ জনকে বাছাই করা হয়।বুধবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাণ ডেইরী কমপ্লেক্সে কৃষকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। খামারিরা যাতে সহজে ঋণ পায় সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুগ্ধখামারিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রাণ ডেইরীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে দরকার পুষ্টি। পুষ্টির ভিত্তি হলো দুধ। আর দুধের উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে খামারিরা। আজ তাদেরকে সম্মানিত করে আমরা নিজেরাই সম্মানিতবোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, ডেইরী হাবের ধারণাটি প্রাণ-ই দেশে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রাণ এর ডেইরী হাব স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা যাতে তারা ন্যায্য দাম পায় এবং দুগ্ধশিল্পে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। প্রাণ খামারিদেরকে প্রশিক্ষণসহ নানান সহায়তা দিয়ে গাভি পালনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে যা দেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) ফাহমিদা হক শেলী, শাহজাদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা, শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক ডা. আবু সৈয়দ, নাসির উদ্দিন খান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি ও রংপুরে প্রাণ এর ডেইরির মোট পাঁচটি হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীন ১০১টি দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে খামারিরা সরাসরি দুধ সরবরাহ করে। প্রাণ ডেইরির বর্তমানে ১২ হাজার চুক্তিভিত্তিক চাষী রয়েছে যারা গরু পালন করে। এসকল চাষীর অধীনে ৫০ হাজার গরু রয়েছে। দুগ্ধখামার করে এসব খামারিরা নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়ে এনেছেন।
বিডি প্রেসরিলিস /০৯ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪