নিজস্ব প্রতিবেদক :: এডিসন গ্রুপের দেশীয় হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড সিম্ফনি মোবাইল দেশের গ্রাহকের চাহিদা মিটিয়ে ২০২২ সাল থেকে রপ্তানি বাজারে যাচ্ছে বলে জনিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ।শিগগিরই দেশে সিম্ফনি মোবাইলের আরও দুটি কারখানা উৎপাদনে যাচ্ছে এবং তাতে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।গত বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার জিরাবোতে সিম্ফনির কারখানায় টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টিআরএনবি সদস্যদের সামনে জাকারিয়া কোম্পানির ভবিষ্যত পরিকল্পনায় কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদশের মোবাইল ফোনের বাজারের আকার এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে স্মার্টফোনের বিক্রি ৩০ শতাংশ; বাকি ৭০ শতাংশ ফিচার ফোন।মাসে এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার সিম্ফনি স্মার্টফোনের চাহিদা বাজারে রয়েছে এবং এর পুরোটাই সিম্ফনি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন-সংযোজন করছে বলে জানান জাকারিয়া।আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সিম্ফনি ফিচার ফোন এবং স্মার্টফোন মিলিয়ে মাসে সাড়ে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ ফোন উৎপাদন-সংযোজন করে বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দেশের চাহিদা পূরণ করে সিম্ফনি শিগগিরই রপ্তানি বাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে জানিয়ে জাকারিয়া বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য, ভারতের সেভেন সিস্টার্স এবং আফ্রিকায় দেশগুলোতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে সিম্ফনির।”সিম্ফনি শিগগিরই মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিভিন্ন এক্সেসরিজ- যেমন ব্যাটারি, চার্জারও উৎপাদন করতে যাচ্ছে বলে জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।আশুলিয়ার জিরাবোতে সিম্ফনির এই ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করা হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই বছরের ডিসেম্বর থেকেই সিম্ফনি ‘মেইড বাই বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাগিয়ে ফোন বাজারজাত করা শুরু করে।
প্রায় ৫৭ হাজার বর্গফুট জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে সিম্ফনির মোবাইলের অ্যাসেম্বলিং প্লান্ট। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রায় ৮ একর এবং আশুলিয়াতে নিজস্ব ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ বর্গফুট জমির ওপর আরো দুটি কারখানা তৈরি করছে সিম্ফনি। এই তিন কারখানায় এখন পর্যন্ত সিম্ফনির ১০০ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে বলে জানান জাকারিয়া শাহিদ।হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া বলেন, দেশে এখন প্রতি মাসে প্রায় দশ লাখ ইউনিট স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে। এর ৭০ শতাংশ এখন দেশেই উৎপাদন-সংযোজন হচ্ছে।
“বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ অবৈধ বাজার বা গ্রে মার্কেট এর মাধ্যমে সরবরাহ করছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। সেখান থেকে সরকার দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।”সিম্ফনিতে বর্তমানে প্রায় ৯৮০ কর্মী কাজ করেন, যাদের সবাই বাংলাদেশি। আগামী কয়েক বছরে এই সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাকারিয়া।
বিডি প্রেসরিলিস /২৫ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪