নিজস্ব প্রতিবেদক :: ডিজিটাল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে আগামী পাঁচ বছরে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে হুয়াওয়ে, যা ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষের উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি, অনুষ্ঠিত ‘টেক অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি : এভরিওয়ান’স ইনক্লুডেড’ শীর্ষক এক ফোরামে, হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম ২.০’-এ ঘোষণা দিয়েছে। চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত এই ফোরামটি যৌথভাবে আয়োজন করে হুয়াওয়ে এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)।
হুয়াওয়ে, আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট (সিডিপি), গ্লোবাল এনাবলিং সাসটেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ (জিইএসআই) এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (এসআইআইএ) প্রতিনিধিগণ এতে অংশ নেন এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এই ফোরামের সাথে মিল রেখে, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এ অঞ্চলের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ভার্চুয়াল গোলটেবিলের আয়োজন করে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ সহ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে ৪০ হাজারেরও বেশি আইসিটি বিষয়ে মেধাবী তরুণদের তৈরি করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
জে চেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিতে, ডিজিটাল রূপান্তর এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ডিজিটাল বিষয়ে তরুণ প্রতিভা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই এবং সুষ্ঠু বিকাশের সুযোগ তৈরির জন্য সবাই যাতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা কর্মসূচিটি অনলাইনে আয়োজন করবো এবং একে আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ২২০ কোটি মানুষের বাড়িতে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। পরিস্থিতির উন্নয়নে, যেসব দেশে হুয়াওয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেসব দেশে ডিজিটাল ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০০৮ সালে বৃত্তি, প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এর প্রতিভা বিকাশের কর্মসূচিগুলো পরিচালনা শুরু করে এবং প্রতিষ্ঠানটি এসব কর্মসূচিতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এ সময় থেকে হুয়াওয়ে দেড় শতাধিক দেশের ১৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উপকৃত করেছে।
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের উৎসাহদানে একইভাবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু করা হয় ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ কর্মসূচিটি। দেশে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন দূরবর্তী শিক্ষা পদ্ধতিতে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে রাজধানীর টিএন্ডটি হাই স্কুল এবং সারাদেশে এর সকল শাখাসমুহে ডিজিটাল সমাধান প্রদানে স্থানীয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম বিজয় ডিজিটালের সাথে অংশীদারিত্ব করে। দেশে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য প্রতিভা বিকাশ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইসিটি কম্পিটিশন, আইসিটি একাডেমি এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা ও এজেন্সির সহযোগিতায় ডিজিটাল ট্রেনিং বাস।
এসব কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি চালু হয়েছে এবং ডিজিটাল ভবিষ্যতের প্রস্তুতিস্বরূপ এক লাখেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করেছে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২শ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একসাথে কাজ করেছে।
বিডি প্রেসরিলিস / ১৪ জুলাই ২০২১ /এমএম
Posted on মে ১৪th, ২০২৪
Posted on মে ৫th, ২০২৪
Posted on মে ৫th, ২০২৪
Posted on মে ৫th, ২০২৪
Posted on মে ৫th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ২৯th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪
Posted on এপ্রিল ১৭th, ২০২৪