নিজস্ব প্রতিবেদক :: গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি বাড়িতে আত্মহত্যা করেন মোসারাত জাহান মুনিয়া। আত্মহত্যার পর থেকেই মুনিয়ার লাইফস্টাইল, তার বড়বোন নুসরাতের সঙ্গে মুনিয়ার সম্পর্ক এবং মুনিয়ার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। ভাইরাল হয় তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনের নানা ভিডিওচিত্র। এবার নতুন করে ফাঁস হওয়া আরও কিছু কল রেকর্ডে উঠে এলো মুনিয়ার অন্ধকার জীবনের নানা তথ্য। ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ওই কল রেকর্ডে মুনিয়ার একাধিক প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ফোনালাপ, রাতে বাসায় ডাকা ও মদ্যপান করার মতো নানা তথ্য উঠে এসেছে।
একটি কল রেকর্ডে মুনিয়াকে তার প্রেমিককে রাতে বাসায় ডেকে নিতে শোনা যায়। এসময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তার জনৈক প্রেমিককে বলতে শোনা যায়, ‘বাসায় আসলে কোনো প্রবলেম হবে না কিনা? এতে উত্তরে মুনিয়া তাকে আশ্বস্ত করেন যে কিছু হবে না।’
আরেক ফোনালাপে মুনিয়া তার কথোপকথনে তার অন্য এক প্রেমিককে বাসায় ডাকলে তিনি নিজেকে মদ্যপ বলে জানান। তবে মুনিয়া বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। তিনি মদ্যপ হলেও তার সেই প্রেমিককে বাসায় আসতে বলেন। ওই কথোপকথনে প্রেমিকের সঙ্গে মুনিয়াকে আরও অনেক অন্তরঙ্গ আলাপ করতে শোনা যায়।
ফাঁস হওয়া ওই সব কল রেকর্ডের একটিতে শোনা যায় মুনিয়া এক যুবককে কল করে দেখা করার কথা বলছেন। মুনিয়া বলেন, ‘কোথায় তুমি। কখন দেখা করবা।’ উত্তরে সেই যুবক অফিসে আছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি রাতের মধ্যে আসছি। তোমাকে পিক করবো।’
এসব কলরেকর্ড সূত্রে জানা যায়, বান্ধবীদের সঙ্গে বাজি ধরে এক ধনী যুবককে প্রেমে ফেলেন মুনিয়া। সেই যুবককে নিজের গুলশানের বাসায় নিয়ে যান তিনি। ফোনের কথোপকথনে শোনা যায় ওই যুবক বাসা খুঁছে পাচ্ছিলেন না। পরে বাসা খুঁজে পেলেও গাড়ি পার্কিং নিয়ে সমস্যার কথা জানায়। এসময় মুনিয়া গুলশানের ওই বাসাতেই সেই যুবকের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে তাকে বাসায় নিয়ে যান।
এমনকি সেই যুবক মুনিয়ার বাসায় যাওয়ার আগে প্রবলেম হবে কিনা তা নিয়ে বারবার জানতে চায়। মুনিয়া তাকে আশ্বস্ত করেন যে কোনোই প্রবলেম হবে না। এক পর্যায়ে সেই যুবক মুনিয়াকে বলেন টেনশন হচ্ছে কিনা? টেনশন করলে ফিরে যাই। তবে মুনিয়া বলেন, ‘আরে বোকা কিসের টেনশন তুমি চলে আসো।’ এসময় মুনিয়া গুলশানের ওই বাড়িতে থাকা তার ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে তাকে ডেকে নেয়।
ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে প্রেমিকের অনেক টাকা-পয়সা খরচ হবে বলেও জ্যোতিষীর দোহাই দিয়ে অনেক ধরনের কথা বলেন মুনিয়া। সেই প্রেমিকও তাতে সায় দেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিই, এই মাসেই ২০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
এর আগও মুনিয়ার একাধিক প্রেম ও ব্ল্যাকমেইলের নানা ঘটনা সামনে এসেছে। যার সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন তারই বড় বোন নুসরাত। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মুনিয়া ও তার বোন মামলার বাদী নুসরাত একধরনের ব্ল্যাকমেইলিং সিন্ডিকেট তৈরি করেন। তাদের অতীত ঘেঁটে ও বিভিন্নজনের সঙ্গে আলাপ করে আরও জানা গেছে, ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দুই বোন।
ভাইরাল হওয়া অডিও লিংকগুলো : https://www.youtube.com/watch?v=QjahDSync3k
বিডি প্রেসরিলিস / ২৯ জুলাই ২০২১ /এমএম
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪