নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের অন্যতম প্রধান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ব্যাবিলন গ্রুপ তাদের মিরপুরস্থ কর্পোরেট অফিসে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। ‘ব্যাবিলন শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প’ শিরোনামের এই ৮ম আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাবিলন গ্রুপের পরিচালক এসএম এমদাদুল ইসলাম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাবিলন গ্রুপের পরিচালক নিসার আহমেদ ও আব্দুস সালামসহ বিশ্বের নামকরা ক্রেতা সংস্থার প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রতিনিধি, ব্যাবিলন গ্রুপের কর্মকর্তারা এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
১৯৮৬ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিখাতে পদার্পন করার পর থেকেই ব্যাবিলন গ্রুপ সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রতিবছর শীতবস্ত্র প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্তদের মধ্যে সাহায্য প্রদান, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বিতা অর্জনের জন্য কর্মীদের পরিবারের মধ্যে গরু পালন কর্মসূচি, বাসস্থান ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক, নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, মহিলাকর্মী ও কমিউনিটি মহিলাদের জন্য স্বল্পমূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিকরণ ও সরবরাহকরণ, কর্মীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা ‘ব্যাবিলন কথকতা’ প্রকাশসহ বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ ব্যাবিলন গ্রুপের নিয়মিত সামাজিক কার্যক্রম।
ব্যাবিলন শিক্ষাবৃত্তি ব্যাবিলন গ্রুপের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ উদ্যোগের আওতায় গত ১১বছর যাবৎ মোট ৪৬২ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে ব্যাবিলন। শিক্ষাবৃত্তি কেবল এর খ-কালীন উদ্যোগ নয়, ব্যাবিলন গ্রুপ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাফল্যের দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য নিয়মিত তদারকি করে আসছে। শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনেকেই আজ বুয়েট শিক্ষক, চিকিৎসক, নৌবাহিনীর প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পর্যায়ে আসীন। এ সাফল্যের আলোকে ব্যাবিলন গ্রুপ বার্ষিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্ষিক ২৮ জনকে নিয়ে, ২০১৯ সালে সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ তে। এ অনুদান শিক্ষার্থীরা পাবেন আগামী দুই বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির ভিত্তিতে এ অনুদান চলমান থাকে এবং অনুদানের পরিমান বর্ধিত হতে পারে।
ব্যাবিলন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান বলেন, শিক্ষা সুযোগ নয় শিক্ষা অধিকার। যে সকল শিক্ষার্থী মেধা দিয়ে তাদের এ অধিকার অর্জন করতে পেরেছেন তিনি তাদের স্বাগত জানান এবং এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ একটি জাতির, দেশের, পরিবারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। ব্যাবিলনের পক্ষ থেকে এই যে বিনিয়োগ এটাও শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ, এখানে কোনো মুনাফা নেই কিন্তু অমূল্য মুনাফা হলো কিছু শিক্ষিত মানুষ। তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এসএম এমদাদুল ইসলাম বৃত্তিপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করে সঠিক মানুষ হবার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সাফল্য ধরে রাখতে পারবে ব্যাবিলন তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
বিডি প্রেসরিলিস / ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ /এমএম
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪