নিজস্ব প্রতিবেদক :: এই অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেন ছাড়াও নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যুক্ত থাকা, যেকোনো ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আনাসহ বিভিন্ন লাইফস্টাইল সেবা পাবেন ব্যবহারকারীরা।এসব সেবার মধ্যে রয়েছে টপ-আপ, বিল পরিশোধ, টিকেটিং, ফুড, বিমা ও স্বাস্থ্যসহ প্রতিদিনকার অন-ডিমান্ড এবং ডে-টু-ডে সেবা।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাপটির বাণিজ্যিক যাত্রার ঘোষণা দেন উদ্যোক্তারা।এ সময় ছিলেন ডিমানির চেয়ারম্যান ও স্কয়্যার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেইমেন্ট সেবা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. মেজবাউল হক, ডিমানির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী সোনিয়া বশির কবির এবং প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফ আর বশির।
অঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম মানুষের ডিজিটাল অগ্রগতিকে আরও ত্বরাণ্বিত করবে।বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদদের তৈরি এই ডিমানি অ্যাপ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আধুনিক অ্যাপ উল্লেখ করে সোনিয়া বশির কবির বলেন, প্রযুক্তিকে দেখা হয় সমস্যার সমাধান হিসেবে। সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে বাড়িঘর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে ঘিরে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ও সেবা প্রদান করা যা তাদের নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সফল হতে সহায়তা করবে।
‘ডিমানি এই ডিজিটাল অ্যাডাপশনকে সহজ করবে এবং মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সুবিধাবঞ্চিতদের সামাজিক ক্ষমতায়নে ডিমানি অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে’ উল্লেখ করেন তিনি।আরেফ বশির বলেন, ডিমানি সকল ডিজিটাল পেইমেন্টের প্ল্যাটফর্ম ও লাইফস্টাইল অ্যাপ। এ প্ল্যাটফর্ম ইকোসিস্টেম নির্মাণে কাজ করবে কেননা ডিমানি বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে ‘ক্যাশ ইকোনোমি’ থেকে ‘ডিজিটাল ইকোনোমি’তে রূপান্তরের বাধা দূর করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ডিমানি ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন মেটাতে নিরাপত্তা এবং নানা পরিসরের সেবা সহজলভ্য করার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের ইতিবাচক অবদান রাখতে চায়। এ প্রক্রিয়ার রয়েছে পেইমেন্ট সুবিধায় কিউআর সংযুক্ত করে মার্চেন্টদের ডিজিটাইজেশন এবং তাদের এ প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত করা। দেশের একদল মেধাবী প্রকৌশলী এ অ্যাপ ডেভলপ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরেফ বশির অ্যাপের ফিচারগুলো দেখান এবং ডিমানির নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এর পেছনের ভাবনাকে সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি ওয়ালেট ট্রান্সফার দেখান, যার বিভিন্ন উদ্ভাবনী ফিচারের মধ্যে রয়েছে ‘ট্রানস্যাকশন ইউসেজ ড্যাশবোর্ড এবং পিটুপি ও পিটুবি’র ক্ষেত্রে ‘রিকোয়েস্ট মানি উইথ ইনভয়েস’ অপশন। সবার সামনে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করা দেশের প্রথম ইন্টারোপেরেবল কিউআর দেখান যেখানে ইন্টারন্যাশনাল কার্ড স্কিম এবং বিভিন্ন পার্টনার ব্যাংক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কিউআর কোড এবং অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ডিমানি ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন টাচ পয়েন্টে পেইমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন। বর্তমানে ২৫শ’র বেশি অফলাইন এবং অনলাইন স্টোর ডিমানির পেইমেন্ট গ্রহণ করছে। ডিমানির রিটেইল কিউআর কোড ইএমভিসিও সমর্থনযোগ্য এবং শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও ইউনিয়ন পের সাথে সংযুক্ত। এছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা ডিমানির কিউআর অ্যালায়েন্সের অংশ হবেন। ডিমানির পরিকিল্পনা ২০২০ সালের মধ্যে এর কিউআর পেমেন্ট এক লাখে নিয়ে যাওয়া।
অ্যাপস্টোর এবং গুগল প্লেস্টোর দুই জায়গা থেকেই ডিমানি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ এবং আইওএস ৬ এবং এর ওপরের সংস্করণের ডিভাইসে চলবে।চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স লাভ করে ডিএমবিএল।
বিডি প্রেসরিলিস / ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ /এমএম
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪