নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে অবকাঠামোগত সহায়তাদানে নিজেদের ভূমিকা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটে টেলিযোগাযোগ, এন্টারপ্রাইজ ও টেকনোলজি সল্যুশন সেবাদাতা শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিগত অত্যাধুনিক সমাধান নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় জেডটিই। আইসিটি খাতের উন্নয়নে নিজেদের দক্ষতা নিয়ে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তাদানে প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও চাহিদা পূরণে এখন পর্যন্ত জেডটিইর ১৫টি বৈশ্বিক আরঅ্যান্ডডি সেন্টার রয়েছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বার্ষিক আয় থেকে গবেষণা ও উন্নয়নে ১০ শতাংশ ব্যয় করে।
ভবিষ্যতে নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃতির সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপরে আলোকপাত করে প্রতিষ্ঠানটি মনে করে বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে আইসিটি খাতে প্রবৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। ডিজিটালকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশ হওয়ার লক্ষ্যেও অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ কারণে বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি বিশ্বে উদীয়মান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বলেও বিবেচিত হচ্ছে।
এ নিয়ে জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা প্যাং উই বলেন, ‘১৯৯৮ সাল থেকে আমরা সফলভাবে বাংলাদেশে কাজ করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা এ দেশের দ্রুত উন্নয়নে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা একসাথে কাজ করে যাবার মাধ্যমে বাংলাদেশের অংশীদার হতে চাই। বাংলাদেশ সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ অর্জনে আমরা সক্রিয় ভ‚মিকা রাখার ব্যাপারেও আশাবাদী।’
এ বছরে শুরুতে জেডটিই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে দেশের প্রথম টায়ার ফোর জাতীয় তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি রাঙামাটিতে ৭.৪ মেগাওয়াট গ্রিড সংযুক্ত সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিজাইন, প্রকিউর ও নির্মাণ করে। বর্তমানে, জেডটিই বাংলাদেশ সরকারের জন্য দেশজুড়ে ফাইবার অপটিক কেবল লেনের আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
পরবর্তী প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সবার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংস, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ফাইভ জি প্রযুক্তি। এজন্য নাগরিকদের কাছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে যেকোনো দেশের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিগত অবকাঠামো প্রয়োজন। চীনভিত্তিক বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশজুড়ে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত অবকাঠামো স্থাপনের।
বর্তমানে, জেডটিই বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি ও ৩০ শতাংশ চীনা কর্মী রয়েছে। জেডটিইতে চীনা কর্মীরা স্থানীয় কর্মীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রশিক্ষণদান করেন। এমনকি চীনের প্রধান কার্যলয় থেকে চীনা কর্মকর্তারা এসে প্রায়ই এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে যান। প্রতিষ্ঠানটি আরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ব্যাপারে প্রত্যাশী। প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিকভাবে পিসিটি ইন্টারন্যাশনাল প্যাটেন্ট অ্যাপ্লিকেশনে তিনবার বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থান দখল করেছে এবং পিডবিøউসি’র ‘টপ ৭০ গ্লোবাল ইনোভেটরস’ তালিকায় এবং ‘টপ ৫০ গ্লোবাল আইসিটি’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। জেডটিই কর্মী, পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডি প্রেসরিলিস / ২৪ আগস্ট ২০১৯ /এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫