নিজস্ব প্রতিবেদক :: শীর্ষ স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান শাওমি আজ বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করছে শাওমি।রাজধানীর বনানীর এক পাঁচতারকা হোটেলে বিশেষ আয়োজন করে আজ (বৃহস্পতিবার) ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ঘোষণা করে শাওমি বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্পখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শাওমি ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশে স্মার্টফোন তৈরি করবে। ডিবিজি একটি গ্লোবাল ইএমএস কোম্পানি, তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস রয়েছে বিশ্বব্যাপী (চীন, ভিয়েতনাম, ভারত প্রভৃতি)। বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য কিছু ব্র্যান্ড ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য তাদের কারখানায় তৈরি হয়। ডিবিজি হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি।
কারখানাটিতে শাওমি বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ স্মাার্টফোন তৈরি করবে। প্রাথমিক অবস্থায় এই কারখানায় প্রায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের কারখানাটির অবস্থান গাজীপুরের বাইপাস রোডের কাছে ভগরায়।
শাওমির অনন্য ও উদ্ভাবনী ধারণা, ডিরেক্ট-টু-কাস্টমার ব্যবসায়িক মডেল স্মার্টফোন শিল্পে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। স্মার্টফোন উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে আরও দীর্ঘমেয়াদে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে শাওমি। এমন বিনিয়োগ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ কার্যক্রমে আরও অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করবে এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে পরিচিত করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কৌশলগত কারণেই শাওমি গাজীপুরকে বেছে নিয়েছে কারখানা স্থাপনের জন্য। সেখানে দক্ষ শ্রমশক্তি, শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন রয়েছে- ফলে সবকিছুর সমন্বয়েই একটি প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে শাওমি জায়গাটিকে বেছে নিয়েছে।শাওমি বাংলাদেশে কারখানাটিতে রেডমি সাব-ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করছে ফোন উৎপাদন, যেটি আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে শাওমির অন্য স্মার্টফোনের পাশাপাশি পোকোর ফোনও তৈরি হবে কারখানায়।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনের মধ্য দিয়ে শাওমি আরও এগিয়ে গেলো, সে সঙ্গে বাংলাদেশের এই খাতে সামনের দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাখতে পারবে। বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তোলার রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দূরদর্শী ভিশন, সেখান থেকেই আমরা স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছি। স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের বাজারে দীর্ঘস্থায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সেই সঙ্গে দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আমরা অবদান রাখতে পারছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত।’
বিডি প্রেসরিলিস / ২৩ অক্টোবর ২০২১ /এমএম
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫