নিজস্ব প্রতিবেদক :: ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। এই উদ্দেশ্যেই ২০২০ সালের ১ নভেম্বর ‘জাতীয় যুব দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি সঠিকভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে গ্রামীণফোন শুরু করেছে জিপি এক্সপ্লোরার প্ল্যাটফর্মটি।
‘জিপি এক্সপ্লোরার’ একটি ৩ মাস ব্যাপী অনলাইন প্রোগ্রাম যেখানে বাছাইকৃত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী ছাত্রদের বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করেন প্রশিক্ষণ নির্দিষ্ট বিষয়ে গ্রামীনফোন ও ইন্ডাস্ট্রি বিশেজ্ঞরা। নির্বাচিত তরুণরা তিন মাস ‘কোহর্ট-১’নামক কর্মসূচির আওতায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নলেজ পার্টনারদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরনের ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন করা।
এ বিষয়ে আজ ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অংশগ্রহণ করেন। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: আখতার হোসেন, সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর এসডিজি আবুল কালাম আজাদ এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার এবং জিপি এক্সপ্লোরার সম্পর্কিত উপস্থাপনা করেন গ্রামীণফোনের হেড অফ ইনোভেশন ফারহানা ইসলাম।
এই উদ্যোগ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “কোভিড-১৯ এর ফলে আমাদের দেশব্যাপী বেশ কিছু ডিজিটাল পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন তরুণদের তরুণদের দক্ষতা এবং শিক্ষা খাতের বিশেষ কিছু অংশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পরিবর্তনশীল এই নতুন বিশ্বের পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে গ্রামীণফোনের এর এই উদ্যোগ, জিপি এক্সপ্লোরার নিয়ে আমরা আনন্দিত। এই উদ্যোগটি তরুণদেরকে বাংলাদেশের নতুন ডিজিটাল যুগে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে।”
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। আমরা তরুণদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ফলে, তরুণরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হচ্ছেন। তরুণদের উন্নয়নে গ্রামীণফোন সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসছে, যা সবার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।’
এ নিয়ে সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর এসডিজি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতিতে উৎপাদনশীলতা প্রধান ভূমিকা রাখছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে চাকরির বাজারে টিকে থাকতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন খাতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি’।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে আমাদের অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি ও সে সম্পর্কিত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের বর্তমান দক্ষতা এবং বিকাশমান দক্ষতার মধ্যকার ব্যবধান হ্রাস করার জন্য পরিবর্তনশীল ব্যবসা পরিচালনার ধরন এবং কর্মসংস্থানের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, জিপি এক্সপ্লোরার আমাদের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রথম পদক্ষেপ মাত্র যার মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক দক্ষ কর্মী চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।”
গ্রামীণফোন ইতিমধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং ইনোভেশনের লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এই উদ্যোগগুলো তরুণ উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন অভিনব সেবা তৈরি করতে সহায়তা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এর উন্নয়নের লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি প্রেসরিলিস /০২ নভেম্বর ২০২০ /এমএম
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪