নিজস্ব প্রতিবেদক :: ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া রোগ স্থানান্তর করে ঢাকা মহানগর এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের এ্যাম্বুলেন্স। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রায় ১ হাজার ২ শত রোগীর বেশিরভাগই বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করে এই বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স।
সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ছয়টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একটি বিল্ডিংয়ে আগুন দেখে হাসপাতালের একজন স্টাফ জানায়, জরুরিভিত্তিতে অনেক এ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন। বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ে জন্য ৯৯৯ এর সাথে কথা বলা হয়। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুর্যোগ মোকাবেলায় সংগঠনের পক্ষ থেকে রোগী স্থানান্তরের জন্য এ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা কামনা করে। ঢাকা মহানগর এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর স্টেক হোল্ডার। সমিতির পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগরে তাৎক্ষনিক প্রায় ৮০/৯০টি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিক্যাল এলাকাসহ গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ও অন্য সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে আরো প্রায় ২০০টি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স রোগী উদ্ধার ও স্থানান্তরের কাজে যোগ দেয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রায় ১২০০’শ রোগীর বেশিরভাগই বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করে এই বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স। রাত আনুমানিক সোয়া আটটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও রোগী স্থানান্তরের কাজ চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এরই মধ্যে কোন রোগী বা তার স্বজনদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে নাই।
বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সংগঠন, ঢাকা মহানগর এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির পক্ষে সভাপতি আলমগীর হোসেন ৯৯৯ এর স্টেক হোল্ডার মিটিং এ পুলিশ মহাপরিদর্শক মহোদয়ের কাছে লিখিতভাবে জানিয়ে ছিলেন দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় সংগঠন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করবে। যদিও কোনো দুর্ঘটনাই কাম্য নয়, তবে সংগঠনের পক্ষে করা সম্ভব সেটা এই কাজের মাধ্যমে সাক্ষী রেখেছে। কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া রোগী উদ্ধার ও স্থানান্তরের কাজ সঠিকভাবে করতে পারায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠনের প্রতি ‘হ্যাটস অফ’ জানায়।
সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, এ্যাম্বুলেন্স চলাচলের উপর এখনো কোন নীতিমালা হয় নাই। ফলে নিয়মিত মামলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্স চলাচলের বিঘœতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিস্তারিত লিখিত ভাবে দেয়া আছে। তবে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় নাই। এভাবে চলতে থাকলে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা থেকে নিরুসাহিত হয়ে উঠবে। দেশে সরকারী ভাবে যে পরিমান এ্যাম্বুলেন্স থাকা প্রয়োজন তা নেই। ফলে এই বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স এর দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন সেসঙ্গে এ্যাম্বুলেন্স চলাচলের বাধা বিগ্নতা দূর করে বেসরকারি মালিকদের এই পেশায় আগ্রহ করার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। যাতে এ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সব সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সংবাদ কর্মী, ডাক্তার, হাসপাতাল কর্মী, স্থানীয় ছাত্র সমাজ, রাজনৈতিক, এ্যাম্বুলেন্স মালিক চালকসহ সব ধরনের উদ্ধার সংশ্লিষ্টদের প্রতি সমিতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিডি প্রেস রিলিস/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এসএম
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫