নিজস্ব প্রতিবেদক :: মো. রাশেদুল :: রাসেল আহমেদ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। প্রতিদিন সকাল ৭:৩০ টায় বাসা থেকে বের হয় অফিস যাওয়ার জন্য। এদিকে রাসেল আহমেদ মাস কয়েকদিন হল বিয়ে করেছেন।তাই তিনি প্রতিদিন ভাবেন অফিস থেকে যাওয়ার সময় বউয়ের জন্য কিছু কিনে নিয়ে যাবেন। কিন্তু তিনি যখন অফিস থেকে বের হয় তার বাসায় পৌছাইতে প্রায় ১০টা বেজে যায়। এর ফলে কেনার কথা মনে থাকে না, এরপর তিনি যখন বাসায় যায় তার বউ যে তাকে যে শ্যাম্পু নিতে বলেছিল তাও সে ভুলে যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তার বাস্ততা আরও বেরে যায়। অন্যদিকে পুরনো দিনের অভ্যাস প্রতিদিনের মতো একটু অনলাইনে কাটানো। সব মিলিয়ে তিনি সমস্যার মধ্যে আছেন।
এই সমস্যাটা তার বন্ধু নাবিনের সাথে শেয়ার করেন। তার বন্ধু নাবেনের কাছ থেকে বাংলাদেশর ই-শপিং এর কথা যানতে পারেন। তাই তিনি আর দেরি না করে সাথেসাথে অনলাইন প্রতিষ্ঠান এর প্রোডাক্টগুলোতে ঘুরাঘুরি করেন। প্রথমে তিনি কোন কিছুর ক্রয় করার সাহস হয়তেছিল না। কারন কোন প্রোডাক্ট এর দাম কত, প্রোডাক্টগুলো ভাল হবে কিনা এবং কিভাবে ক্রয় করতে হয় ইত্যাদি। একদিন অনলাইন থেকে খুজে পান শাইন স্কিন বাংলাদেশ । ওয়েবসাইট টা কোরিয়ান সৌন্দর্য পণ্য বিক্রি করে। তাই তিনি দেরি না করে তার বউ এর জন্য একটি শ্যাম্পু অর্ডার দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখেন শেই পণ্য টা চলে আসচ্ছে। এই ভাবেই তিনি অনলাইন এর মাধ্যমে কেনাকাটায় অভ্যাস গড়ে তোলেন। এখন অফলাইন থেকে কোন পণ্য কিনতে হয় না। গত ৬ মাসে তিনি সৌন্দর্য পণ্য এর পাশাপাশি অনেক গৃহস্থলী সামগ্রী কিনেছেন। রাসেল আহমেদ বলেন, অনলাইন কেনাকাটা আমার জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে।
এভাবেই বাংলাদেশের ই-শপিং অর্থাৎ অনলাইন কেনাকাটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনলাইনে পণ্য বেচাকেনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। একটা মাত্র মুঠোফোনেই আমাদের জীবন ধারাকে করে তুলেছেন সহজ। মুঠোফোন অর্থাৎ অনলাইনকে প্রাধান্য দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা গড়ে তুলেছেন অনলাইন প্ল্যাটফরম। ফেসবুক এর মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে বেচাকেনার প্ল্যাটফরম। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্র ছাড়াও বেচাকেনা হচ্ছে- জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছু। এমনকি ডিমও এই অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রয়ডটকম, সেলবাজার, ওএলএক্স, এখনিডটকম, রকমারি, দারাজ, আজকের ডিল সব অনলাইন পোর্টাল এখন জনপ্রিয় হয়ে গেছে।বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল এখন নিজেদের পণ্য বিক্রি করতেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশর ভোক্তা আচরণেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । আমারা একটু গুগল সার্চ করলেই দেখতে পারব ২০১৩ সালের বেশ কিছু চিত্র। এর মধ্যে এসএসসির ফলাফল দেখার জন্য ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশিরা। পরের স্থান দখল করে রেখেছে এইচএসসি ফলাফলের ওয়েবসাইট। আর ৩য় স্থানে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ফেসবুকে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, চতুর্থ স্থানটি দখল করে আছে অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবপোর্টাল বিক্রয়ডটকম।
বাংলাদেশের সেলবাজার নামে একটি অনলাইন পোর্টাল প্রথমে বেচাকেনা শুরু করে, এরপর থেকে ক্রমশ এর প্রসার বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে ২০ থেকে ২৫টি ওয়েব পোর্টাল রয়েছে। আর এই পোর্টালগুলো বাণিজ্যিক ভাবে প্রসার করছে। যার ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ সহজেই এই পোর্টালগুলো খুঁজে পাচ্ছে।
বিডি প্রেস রিলিস / ২২ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৬th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৫th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ২৪th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪
Posted on মার্চ ৮th, ২০২৪