নিউজ ডেস্ক :: বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এআই স্ট্র্যাটেজি এবং সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য এআই পোর্টফোলিও উন্মোচন করেছে। আজ ১০ অক্টোবর চীনের সাংহাইয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত তৃতীয় বার্ষিক ‘হুয়াওয়ে কানেক্ট’ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক ঝু এ ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অ্যাক্টিভেট ইনটেলিজেন্স’, যেখানে এ.আই এবং এর চ্যালেঞ্জ, সুবিধা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়।
হুয়াওয়ের ফুল স্ট্যাক এআই পোর্টফোলিওর মধ্যে রয়েছে- চিপ, চিপ সক্রিয়করণ, প্রশিক্ষণ কাঠামো এবং অ্যাপ সক্রিয়করণ। আর ‘অল সিনারিও’ বলতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগকে বোঝায়।
এর মধ্যে থাকবে পাবলিক ক্লাউড, প্রাইভেট ক্লাউড, এজ কম্পিউটিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটি ডিভাইস এবং কনজ্যুমার ডিভাইস। ফুল স্ট্যাক এআই পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে হুয়াওয়ে শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে এবং সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গড়তে চায়।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক ঝু বলেন, ‘হুয়াওয়ের এআই স্ট্র্যাটেজি হলো মৌলিক গবেষণা ও মেধার উন্নয়নে বিনিয়োগ করা, একটি পরিপূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগক্ষেত্র গঠন এবং একটি বৈশ্বিক ইকোসিস্টেম গড়ার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করা।’
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়েতে আমরা সব সময়ই এআই ব্যবহার করে ম্যানেজমেন্টের উন্নয়ন ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করি। এছাড়া টেলিকম সেক্টরের নেটওয়ার্ক বাড়াতে আমরা ইতিমধ্যে SoftCOM AI ব্যবহার করেছি। কনজ্যুমার মার্কেটে HiAI সত্যিকারের বুদ্ধিবৃত্তিক কনজ্যুমার সার্ভিস চালু করেছে এবং তাদের আগের চেয়ে স্মার্ট করেছে।
হুয়াওয়ের ইআই পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস এবং ফিউশনমাইন্ড প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশনগুলো সব প্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত ও সাশ্রয়ী মূল্যে কম্পিউটিং সুবিধা দেবে, বিশেষ করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে।
এছাড়া এসব সল্যুশন তাদের বৃহৎ পরিসরে এআই ব্যবহার করতে সহায়তা করবে। হুয়াওয়ের পোর্টফোলিওতে একটি এআই অ্যাক্সেলারেশন কার্ড, এআই সার্ভার, এআই অ্যাপ্লিয়েন্স এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে।’
ভবিষ্যতের ১০ পরিবর্তন: নেতৃত্ব দেবে হুয়াওয়ের এআই স্ট্র্যাটেজি
হুয়াওয়ে মনে করে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে আরও ৪০ বিলিয়নের বেশি ব্যক্তিগত স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা হবে, যার ৯০ শতাংশ ডিভাইসই ব্যবহারকারীদের স্মার্ট ডিজিটাল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে ব্যবহার করবে। ডেটা ব্যবহার হবে ৮৬ শতাংশ এবং এ.আই সার্ভিস সহজলভ্য হবে। হুয়াওয়ে মনে করে, ১০টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে, যা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেবে।
১. দ্রুততর মডেল ট্রেইনিং
২. পর্যাপ্ত ও সাশ্রয়ী কম্পিউটিং পাওয়ার
৩. এ.আই প্রয়োগ ও ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা
৪. নতুন অ্যালগরিদম
৫. এ.আই অটোমেশন
৬. প্রাকটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন
৭. রিয়েল টাইম ও ক্লোজড লুপ সিস্টেম
৮. মাল্টি-টেক সিনারজি
৯. প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট
১০. মেধার সহজলভ্যতা
হুয়াওয়ের এআই স্ট্র্যাটেজিতে যে বিষয়গুলোতে বেশি জোর দেয়: এআই গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানো, ফুল স্ট্যাক এআই পোর্টফোলিও, উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম ও মেধার উন্নয়ন, বিদ্যমান পোর্টফোলিও শক্তিশালী করা এবং হুয়াওয়ের পরিচালন দক্ষতা বাড়ানো।
প্রসঙ্গত, হুয়াওয়ে কানেক্ট-২০১৮ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এ বছরে হুয়াওয়ে কানেক্ট অনুষ্ঠানটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যেখানে উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্বে পদার্পন করতে সাহায্য করা হবে।
বিডি প্রেস রিলিস/১০ অক্টোবর ২০১৮/এসএম
Posted on আগস্ট ১৪th, ২০২২
Posted on আগস্ট ১৪th, ২০২২
Posted on আগস্ট ১৩th, ২০২২
Posted on আগস্ট ১৩th, ২০২২
Posted on আগস্ট ১৩th, ২০২২
Posted on আগস্ট ১১th, ২০২২
Posted on আগস্ট ৯th, ২০২২
Posted on আগস্ট ৯th, ২০২২
Posted on আগস্ট ৯th, ২০২২
Posted on আগস্ট ৭th, ২০২২