নিজস্ব প্রতিবেদক :: চীনের প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুওয়ায়ে বাংলাদেশে নিয়ে এলো টু-ইন-ওয়ান ফ্ল্যাগশিপ লেপটপ ‘মেটবুক’। প্রতিষ্ঠানটি এতোদিন শক্তিশালী মোবাইল কনজ্যুমার ডিভাইস তৈরি করছিল। এখন আধুনিক ব্যবসায়ীক পেশাদারদের চাহিদার জন্য এ লেপটপ নির্মাণ করেছে হুয়াওয়ে। সাধারণ গ্রাহকরা এ লেপটপ আপাতত নিতে পারবেন না।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লেপটপের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন শেন উই ও হুওয়ায়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
হুয়াওয়ে জানায়, মেটবুকটির ওজন মাত্র ৬৪০ গ্রাম হওয়ায় এটি সহজে বহন যোগ্য। এটি তৈরিতে উন্নতমানের অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় খুবই দৃষ্টি নন্দন। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমচালিত মেটবুকটিতে সেভেন জেনারেশন ইন্টেল কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্টফোনের মোবিলিটির সঙ্গে ল্যাপটপের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগানো হয়েছে মেটবুকটিতে।
এছাড়াও এতে সর্বোচ্চ ১৬ জিবি ডিডিআর ফোর র্যাম, ২৫৬ জিবি সলিড-স্লেট ড্রাইভ (এসএসডি) ও এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ড্রাইভ রয়েছে। মেটবুকটিকে ঠান্ডা রাখার জন্য অভিনব স্ট্যাকড হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এটিতে কোনো কুলার ফ্যান লাগানো হয়নি। ব্যবহারের সময় কোনো শব্দ হবে না।
বাজারে মেটবুক বি এবং মেটবুক এক্স নামে দুইটি মডেলের লেপটপ পাওয়া যাবে। এটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত নয়। শুধুমাত্র কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য নিতে পারবে। ফলে একটি দুইটি নয়, কমপক্ষে ১০০টি লেপটপের অর্ডার করতে হবে। তাই একটি বা দুইটির জন্য কোনো দাম জানায়নি হুয়াওয়ে। তবে, যে কোনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা মেটবুক সিরিজের লেপটপ বাল্ক পার্চেজ বা পাইকারি পদ্ধতিতে কিনতে পারবেন।
প্রযুক্তিখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কয়েকটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করেছে। আরও কয়েকটি নির্মাণাধীন আছে- স্মরণ করিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক হুওয়ায়ে কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা করার আহ্বান জানান। এতে করে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। প্রযুক্তি পণ্য মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়গের অপার সম্ভবনার দেশ। এ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়। যারা এদেশে বিনিয়গ করতে আসবে, তাদের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
পরে সবাই একসঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেটবুক নিয়ে ফটোশেসন করে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
(বিডি প্রেস রিলিস/০৭অক্টোবর/এসএম)
Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ১৫th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুনe ৩০th, ২০২৪
Posted on জুনe ৮th, ২০২৪