নিজস্ব প্রতিবেদক :: যে সব প্যাটেন্ট জারি করা হয়েছে, সেগুলার উপর বিবেচনা করে গত বছর ছিল ইউরোপে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ বছর যেখানে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার প্যাটেন্ট জমা দিয়েছে।
বেনিত বাট্টিস্টেলি, ইউরোপীয় প্যাটেন্ট অফিসের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ফলাফল নিয়ে খুবই উচ্ছসিত। অধিক হারে আমরা যে প্যাটেন্ট পেয়েছি তা ছিল প্যাটেন্ট লেন্দস্কাপের অন্যতম ফিচার। আবারো আমরা এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে মিল রেখে আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং একটি গতিশীল উদ্ভাবন খাতকে সমর্থন করেছি- এমনটাই বলছিলেন বাট্টিস্টেলি।
প্রথমবারের মতো আমরা ৪,০০,০০০-এর বেশি পণ্য অতিক্রম করতে পেরেছি। এর মধ্যে অনুসন্ধান, পরীক্ষা, প্রতিদ্বন্ধিতার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৬ শতাংশ এবং গত কয়েক বছর ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বাট্টিস্টেলির মতে ইউরোপীয় প্যাটেন্টের অধিকতর চাহিদা প্রমাণ করে প্রযুক্তির বাজারে ইউরোপীয়দের আকর্ষণীয়তা।
ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্বের তুলনায় বেশি পেটেন্ট দায়ের করেছিল-এক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং সেবাপ্রদান করে আস্থা অর্জনের মাধ্যমে তারা তাদের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে-বলেছেন বাট্টিস্টেলি। স্বাস্থ্য, ডিজিটাল যোগাযোগ সেবা ও কম্পিউটারের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকার শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে। তালিকার মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এ তালিকায় নাম উঠাতে সক্ষম হয়েছে।
ইউরোপীয় প্যাটেন্ট অফিস সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তারা উল্লেখ করে ১ লাখ ৬৬ হাজার ইউরোপীয় প্যাটেন্ট আবেদন পেয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪ শতাংশ বেশি এবং এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২ হাজার ৩৯৮টি প্যাটেন্ট জমা দিয়ে হুয়াওয়ে প্রথম অবস্থান দখল করে।
হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ লিগ্যাল অফিসার ড. শং লিউপিং বলেন, হুয়াওয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে যার ফলাফলে তাদের শীর্ষস্থানে অবস্থান। আমরা ৫ম প্রজন্মের মত পরবর্তী ধাপের টেলিযোগাযোগের উন্নয়নে কাজ করছি যার ফলে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি হতে পারে। হুয়াওয়ে ক্রমাগত প্যাটেন্ট আবিষ্কার এবং বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করে যাবে।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত হুয়াওয়ে চীনে ৬৪ হাজার ৯১টি পেটেন্ট এবং চীনের বাইরে ৪৮ হাজার ৭৫৮টি আবেদন করে। মোট ৭৪ হাজার ৩০৭টি পেটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন দেয়া হয়েছে যার মধ্যে ৯০ শতাংশই উদ্ভাবনী পেটেন্ট। বিশ্বব্যাপি হুয়াওয়ের ১ লাখ ৮০ হাজার জন কর্মীর মধ্যে ৪০ শতাংশ গবেষণা এবং উন্নয়ন কাজের সঙ্গে জড়িত এবং প্রতিষ্ঠানটি তাদের বার্ষিক আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ এ খাতে বিনিয়োগ করে থাকে।
(বিডি প্রেস রিলিস/২৫ মার্চ/এসএম)
Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ১৫th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪
Posted on জুনe ৩০th, ২০২৪
Posted on জুনe ৮th, ২০২৪