Follow us

সিলেটে যক্ষ্মা নির্ণয়ের নতুন দিগন্ত

সিলেটে যক্ষ্মা নির্ণয়ের নতুন দিগন্ত

নিউজ ডেস্ক :: জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে যক্ষ্মার জন্য প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১৮-২০২২) অনুসারে গুণগত ও মানসম্মত উপায়ে রোগটি নির্ণয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। মার্কিন সহযোগী সংস্থা ইউএসএইডের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, বায়োসেফটি লেভেল-৩ (বিএসএল-৩ ল্যাব) নামক ল্যাবরেটরিটি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেটের বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ল্যাবরেটরিটি ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত টিবি কেয়ার টু এবং চ্যালেঞ্জ টিবি নামক দুটি প্রকল্প দ্বারা পরিকল্পিত, নির্মিত এবং স্থাপন করা হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট, সিভিল সার্জন সিলেট, জনশক্তি বিভাগ (পিডব্লিউডি) এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন। গ্লোবাল ফান্ডও এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে। সিলেটের বক্ষব্যাধী হাসপাতাল সংলগ্ন বিএসএল-৩ ল্যাবটিতে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এরপর পূর্ব দরগা গেইটে অবস্থিত স্টার প্যাসিফিক হোটেলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষাগারটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় গবেষনাগারটি সম্পর্কে একটি টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন। বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধির কারণে যক্ষ্মার পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সর্বোচ্চ সুবিধাসম্পন্ন বায়োসেফটি তিন স্তরের এ ল্যাবরেটরিটি, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদান করবে।

অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক টেকনোলজি সম্পন্ন এ ল্যাবরেটরিটি ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার পরীক্ষায় যুগান্তকারী ভুমিকা রাখবে। একটি শিপিং কন্টেইনারের ভেতরে নির্মিত এ পরীক্ষাগারটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, নির্ভুল এবং সাশ্রয়ী যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম। পরীক্ষাগারটি সলিড কালচার ও ডিএসটির মাধ্যমে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরের ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা নির্ণয় করার পাশাপাশি এটি জিন এক্সপার্ট প্রক্রিয়া এবং অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক যন্ত্রাংশের সহায়তায় রফাম্পিসিম প্রতিরোধকারী যক্ষ্মা দ্রুত শনাক্ত করবে। এটি জাতীয় ঔষধ প্রতিরোধকারী যক্ষ্মাবিষয়ক জরিপ, গবেষণা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাগার হিসেবেও কাজ করবে। সিলেটের পূর্ব দরগা গেইটে অবস্থিত হোটেল স্টার প্যাসিফিকে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদানের জন্য ইউএসএআইডির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি ল্যাবরেটরিটির সফলভাবে প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করার জন্য এনটিপি, স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সিলেট জেলার সিভিল সার্জনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ইউএসএআইডি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানান। ইউএসএআইডি প্রতিনিধি ডা. আলিয়া আল মোহান্দেজ সিনিয়র ফ্যামিলি প্ল্যানিং এ্যাডভাইজার, অফিস অব দি পপুলেশন, হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন, ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ সিলেটে এই অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক টেকনোলজিসম্পন্ন যক্ষ্মা নির্ণয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য জাতীয় ও স্থানীয় সরকারি সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান ।

সিলেটে যক্ষ্মা নির্ণয়ের নতুন দিগন্ত

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাতশ কোটি ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। ২০১৭ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় একুশ কোটি ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি-লেপ্রসি এন্ড এএসপি অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, ড. এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদুত, জাতিসংঘ, জনাব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, মহাসচিব, বিএমএ এবং প্রাক্তন অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ও লাইন ডিরেক্টর, টিবি-লেপ্রসি ও এএসপি, ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিভিল সার্জন, সিলেট, ডিভিশনাল ডিরেক্টর, প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডা. আলিয়া আল মোহান্দেজ, সিনিয়র ফ্যামিলি প্ল্যানিং এ্যাডভাইজর, অফিস অব দি পপুলেশন, হেল্থ, নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশন, ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ এবং, ডা. অস্কার কর্ডন, কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর, চ্যালেঞ্জ টিবি প্রজেক্টসহ ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথ, আইআরডি এবং অন্যান্য অংশীদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বিডি প্রেস রিলিস/২৬ অক্টোবর ২০১৮/এসএম


LATEST POSTS
মেট্রোরেল ও মিডিয়াকম লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

Posted on সেপ্টেম্বর ১৫th, ২০২৩

ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন

Posted on সেপ্টেম্বর ১৫th, ২০২৩

আকিজ বোর্ড ডিলার কনফারেন্স থেকে ঘোষণা এলো নতুন সব ইনোভেশনের

Posted on সেপ্টেম্বর ৮th, ২০২৩

মায়া অল ন্যাচারাল স্ক্যাল্প অ্যান্ড হেয়ার অয়েল : চুলে দিন ন্যাচারাল পুষ্টি

Posted on সেপ্টেম্বর ২nd, ২০২৩

অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হলো প্যান্টনিক কলমের

Posted on সেপ্টেম্বর ২nd, ২০২৩

ফুডপ্যান্ডার প্যান্ডাপিকে যুক্ত হলো ম্যাডশেফ ও চিজ

Posted on আগস্ট ৩০th, ২০২৩

এয়ারটেলের সাথে দেশজুড়ে বন্ধুদের সব হবে অন্য লেভেলে

Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩

ইউডিটিসিএল এখন জেটি ইন্টারন্যাশনাল

Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩

দেশের সবচেয়ে বড় ইস্পোর্টস টুর্নামেন্ট ডি১ কাপ বাংলাদেশ- এ এবার পুরস্কার ৪০ লক্ষ টাকা

Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩

বাংলাদেশে adbliv-এর দুই বছর

Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩