দেশের রাইডশেয়ারিং ব্যবসায় ‘এক যানবাহন এক অ্যাপ’ পরিচালনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দেশের ১১টি রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান চালাও (চালডাল.কমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান)-এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আপত্তির বিষয়টি উঠে এসেছে।
রাইডশেয়ারিং কোম্পানিগুলো শুরু থেকে বিআরটিএর সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রতিটি মিটিংয়ে ‘এক যানবাহন এক প্লাটফর্ম’ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এসেছে।
একাধিক চিঠিতে রাইডশেয়ারিং কোম্পানিসমূহ বিআরটিএকে তাদের এই সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে অবহিত করেছে এবং বিআরটিএ প্রতিবার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বা সংশোধন করা হবে এই মর্মে বার্সাকে আশ্বস্ত করেছে।
বৈঠকে অভিযোগ করে বলা হয়, ২৪ জুনের মিটিংয়ে বিআরটিএর ওয়েব পোর্টালে প্রদর্শনীতে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এই সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হয়নি বরং এই সিদ্ধান্ত বলবত করা হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ ওই বৈঠকে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাইডশেয়ারিং কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিরোধিতা করেছে।
রাইডশেয়ারিং কোম্পানিসমূহ সকলে মিলে তাদের পূর্বের অবস্থান পুনঃব্যক্ত করে সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেখানে তারা বলেছে, বিআরটিএ রাইডশেয়ারিং পলিসি ক (৯) নং অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ ভুল এবং বিপরীত ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক এরকম একটি অনৈতিক ও ব্যবসায়িকভাবে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত কোম্পানির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে পুরো রাইডশেয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে পরবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একচেটিয়া বাজার বা মনোপলি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যাত্রী ও চালকরা একটি বা দুইটি কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পরবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে সকল রাইডশেয়ারিং কোম্পানির প্রতিনিধি এই মর্মে ঐকমত্য পোষণপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, যতদিন পর্যন্ত বিআরটিএ ‘এক যানবাহন এক অ্যাপ’ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করছে ততদিন পর্যন্ত রাইডশেয়ারিং কোম্পানিসমূহ বিআরটিএ বরাবর কোন প্রকারের অ্যানলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করবে না।
এই সিদ্ধান্ত সকল রাইডশেয়ারিং কোম্পানি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে বলে এক লিখিত রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে।এক যানবাহন এক অ্যাপ’ নীতি ছাড়াও রাইডশেয়ারিং পলিসি ২০১৭ তে জনস্বার্থবিরোধী আরও কতিপয় ধারা রয়েছে উল্লেখ করে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। যেসব ধারায় সংশোধন আনার জন্য যৌথভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো বিআরটিএ বরাবর অনেক চিঠি প্রেরণ করেছে এবং সেগুলো বিআরটি-এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথভাবে সংরক্ষিত রয়েছে বলে তারা জানান।
বিডি প্রেস রিলিস / ২৯জুন ২০১৯ /এম আর
Posted on অক্টোবর ৫th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৯th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪