নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের ৫৪৪টি থানার মধ্যে ৫৩২টি থানায় ৭ হাজার ৪.৫জি নেটওয়ার্ক নিয়ে দেশের বৃহত্তম ৪.৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি। এর মানে দেশের প্রতি তিন জনে একজন রবি’র ৪.৫জি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছেন। আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জনের এ মুহুর্তে আজ, ২৪ অগাস্ট, ২০১৮ চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) ব্যবসায়িক ফলাফল প্রকাশ করেছে অপারেটরটি।
২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় রবি’র সক্রিয় ৪.৫জি নেটওয়ার্কের সংখ্যা ৬ হাজার ১শ’টি। পাশাপাশি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখে যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ডেটা খাতে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হওয়ায় এই সময়ে সেবা খাত থেকে সার্বিক রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ; যদিও ভয়েস খাতে রাজস্ব ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। ৪.৫জি নেটওয়ার্কে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক সংখ্যার অর্জনও ডেটা খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
২৫ দশমিক ৩ শতাংশ মার্জিনসহ গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৪২০ কোটি টাকা। তবে দেশব্যাপী ৪.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তার ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্রমাগত বিনিয়োগ এবং বাজারে সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় রবি’র মোট লোকসানের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে মূলত ডেটা খাত থেকে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রমজানের কারণে ভয়েস খাত থেকে এ সময়ে রাজস্ব ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ৪.৫জি সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক খাতে এবং প্রচারণা সংক্রান্ত খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ সত্ত্বেও পরিচালন ব্যয়ের মার্জিন ৩ দশমিক ৭ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৪২০ কোটি টাকা হয়েছে।
দেশজুড়ে ৪.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তার এবং এর ৩.৫জি/২.৫জি নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগের ফলে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি’র মোট মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। শুধু ২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ৫৫০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে নেটওয়ার্ক বিস্তারে ক্রমাগত এই বিনিয়োগের মাধ্যমে রবি দেশজুড়ে ১০ হাজার ৮৯৪টি সাইট স্থাপন করেছে যার মধ্যে ৬ হাজার ১শ’টি ৪.৫জি সাইট। চলতি বছরের অগাস্টের মাঝামাঝি রবি’র ৪.৫জি সাইটের সংখ্যা ৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির অগ্রগতি সম্পর্কে রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও বলেন, “দেশের বৃহত্তম ৪.৫জি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুবিধা আমরা চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসেই দেখতে পাচ্ছি; ডেটা খাত থেকে আমাদের বাজস্ব বেড়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সেবা প্রদান করছি আমরা। যেমন: সম্প্রতি শেষ হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ উপলেক্ষ্যে আমাদের ‘মাই স্পোর্টস’ অ্যাপ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। রবি’র ৪.৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে লাইভ খেলা উপভোগ করেছেন গ্রাহকরা। ডিজিটাল প্লাটফর্মে একমাত্র এই অ্যাপটিরই লাইভ খেলা দেখানোর স্বত্বাধিকার ছিল।”
এছাড়া রবি’র রমজান অফার- ‘নূর’ অ্যাপ দেশের প্রথম ইসলামিক অ্যাপ যা গ্রাহকদের অনন্য কিছু ফিচার; যেমন- হজ ট্র্যাকিং, যাকাতের পরিমাণ নির্ণয় ও ই-স্টোর প্রদান করেছে যা পবিত্র রমজান মাসের ভাবগাম্ভীর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ ধরণের ডিজিটাল সেবা ও পণ্য চালু ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে রবি’র প্রতিষ্ঠা পাওয়ার প্রচেষ্টারই প্রতিফলন।”
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সরকারী কোষাগারে ৬৬০ কোটি টাকা প্রদান করেছে রবি। ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছে ২২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। একই সময়ে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করেছে ২৯০ কোটি টাকা।
(বিডি প্রেস রিলিস/২৬ আগস্ট ২০১৮/এসএম)
Posted on মার্চ ১৫th, ২০২৩
Posted on মার্চ ১৫th, ২০২৩
Posted on মার্চ ১২th, ২০২৩
Posted on মার্চ ৯th, ২০২৩
Posted on মার্চ ৯th, ২০২৩
Posted on মার্চ ৯th, ২০২৩
Posted on ফেব্রুয়ারি ২৭th, ২০২৩
Posted on ফেব্রুয়ারি ২৭th, ২০২৩
Posted on ফেব্রুয়ারি ২৬th, ২০২৩
Posted on ফেব্রুয়ারি ২৪th, ২০২৩