নিজস্ব প্রতিবেদক :: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরও চলতি বছর শেষে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের মুনাফা হবে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডালার। আর ২০২১ সালে মুনাফার পরিমাণ আরও বাড়বে। এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেন ঝেংফেই।
সোমবার চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত ‘কফি উইদ রেন’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। হুয়াওয়ের সাম্প্রতিক অনেক বিষয় নিয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা ধরে প্যানেল আলোচনা হয়। প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক নিকোলাস নিগ্রোপন্থে এবং লেখক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট জর্জ গিলডার। আলোচনা সঞ্চালনা করেন চাইনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়োর্কের (সিজিটিএন) তিয়ান উই।
রেন ঝেংফেই বলেন, ‘যখন কম শক্তিশালী ছিলাম তখনও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, এখনও কাজ করিছ এবং ভবিষ্যতেও তাদের সাথে কাজ করতে চাই। কিন্তু এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে শঙ্কা বোধ করে। কিন্তু হুয়াওয়ে তেমন করে চিন্ত করে না। হুয়াওয়ে শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী এর নিরাপত্তার বিষয়ে।’
আলোচনায় হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের বিষয়ে রেন ঝেংফেই বলেন, ‘হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশে কোনো ধরনের ব্যাকডোর নেই, এমনকি সেখানে কেউ প্রবেশও করতে পারে না। যদি কোনো রাষ্ট্র চায় তবে হুয়াওয়ে ‘‘নো ব্যাকডোর’’ চুক্তি করতে প্রস্তত। এমনকি হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এতোটাই সুরক্ষিত যে সেখান থেকে ডাটা নেওয়ার আশঙ্কা নেই।’
জাতীয় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কে দেবে- সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক নিকোলাস নিগ্রোপন্থে বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনসম্মুখে জানিয়েছেন, যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করা যায় তাহলে তিনি হুয়াওয়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয় বিবেচনা করবেন। সুতরাং এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নয়, কারণ আমরা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বাণিজ্য করি না। সুতরাং এখানে অন্য কোনো বিষয় আছে এবং এই বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে হবে।’
প্যানেলের অপর আলোচক লেখক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট জর্জ গিলডার বলেন, ‘হুয়াওয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশটির জন্য ‘‘বড় ভুল’’। ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি কোনও রাজনৈতিক সমস্যা না, এটা প্রযুক্তিগত সমস্যা। আমি মনে করি, বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে হুয়াওয়ে এ সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।’
রেন রেংফেই বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে কোনো পক্ষই জিততে পারবে না। হুয়াওয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেভাবে প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করেছে তা মোটেও কাম্য নয়। কারণ, হুয়াওয়ে চীন সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এর ফলে দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমেই এই বিশ্ব মানুষের সব চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বের প্রতিপাদ্য হলো ‘‘সহযোগিতা’’।’
তিনি আরও বলেন, ‘হুয়াওয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনোভাবেই হুয়াওয়েকে আটকানো যাবে না। বিশ্বের প্রত্যেক মানুষকে ডিজিটাল করা, একটা উন্নততর নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসার হুয়াওয়ের যে লক্ষ্য, তা পূরণ করা হবে। আমরা চাই প্রত্যেকটি বাড়ি, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্বজনীন নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে।’
বিডি প্রেস রিলিস/ ২০ জুন ২০১৯ /এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫