দেশে দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন মার্কেটে শীর্ষস্থান দখল করেছে শাওমি। ২৮.৮% মার্কেট শেয়ার ও বার্ষিক ১৩৪% প্রবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষস্থান নিয়েছে চীনা এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ এর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির মার্কেট মনিটর সার্ভিস থেকে জানানো হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে স্মার্টফোন শিপমেন্ট এর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৩% হ্রাস পেয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সে প্রেক্ষিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কেনার সক্ষমতা কমে গেছে। তারপরও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
শাওমির শীর্ষস্থান দখল নিয়ে কাউন্টার পয়েন্ট এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক করণ চৌহান বলেন, ব্র্যান্ডটির ক্রমবর্ধমান অফলাইন উপস্থিতি, উন্নত স্থানীয় কারখানা, বড় ডিসপ্লে, বিশাল ব্যাটারি এবং ভালো ক্যামেরা সমৃদ্ধ এন্ট্রি-লেভেল পোর্টফোলিও হ্যান্ডসেট থাকার কারণে আজকে এ অবস্থানে আসতে পেরেছে। ঈদের উৎসবগুলোও শাওমির বেচা-বিক্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মনে হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতেও ব্র্যান্ডটি অফলাইনে উপস্থিতি আরো বাড়বে এবং সেই সাথে এন্ট্রি-লেভেল সেগমেন্টে আরো নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্যামসাং এর মার্কেট শেয়ার ১৭.৩% ও বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬৫%। মূলত এন্ট্রি ও মিড লেভেল স্মার্টফোনের বাজারে ধীরগতির পারফরমেন্সের কারণে তাদের এ অবস্থান। ১০.১% শতাংশ শেয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ভিভো।
বাংলাদেশের সার্বিক স্মার্টফোনের বাজার সম্পর্কে চৌহান বলেন, গত এপ্রিলে ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের বাজারে ভালো স্মার্র্টফোন শিপমেন্ট হয়। এ সময় দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রায় অর্ধেক স্মার্টফোন শিপমেন্ট হয়। কিন্তু এরপর মে ও জুন মাসে শিপমেন্ট আস্তে আস্তে কমতে থাকে। কারণ স্মার্টফোন তৈরির উপাদান ও অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের কারণে ফোনের দাম ১০% পর্যন্ত বেড়ে যায়। আগামী দিনগুলোতে স্মার্টফোনের দাম আরো বাড়তে পারে।
এদিকে বরাবরের মতো ফিচার ফোনে শীর্ষস্থান দখল করেছে সিম্ফনি। এবার ১৭% শেয়ার নিয়ে শীর্ষস্থানে থাকা সিম্ফনির পরে রয়েছে আইটেল ও নোকিয়ার অবস্থান।
বাংলাদেশের প্রশংসা করে কাউন্টার পয়েন্টের রিসার্চে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে যেসব স্মার্টফোন শিপমেন্ট হয় তার ৮০% বেশি স্থানীয় কারখানায় উৎপাদিত। তাই উৎপাদনের দিক থেকে ধরলে এ বাজারকে পরিপক্ক বাজার বলা যায়। কারণ প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি স্মার্টফোন তৈরির সক্ষমতা আছে দেশটির। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর নাগাদ ৯৫% বেশি স্মার্টফোন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হবে।
বিডি প্রেসরিলিস / ২৮ আগস্ট ২০২২ /এমএম
Posted on অক্টোবর ১৩th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ১১th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৫th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৯th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪