নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশে নারীদের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র শাড়ি। এই পোষাকের রয়েছে খুবই সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যগত ইতিহাস। বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে শাড়িকে নারীদের মূল পোষাক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাড়ি প্রাথমিকভাবে একটি দীর্ঘ কাপড়ের টুকরা যা অনির্ধারিত এবং সাধারণত ৬ গজ দৈর্ঘ্য এবং একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মধ্যে আবৃত হয়।
যখন শাড়ির প্রসঙ্গ আসে, তখন বালুচরী শাড়ির প্রসঙ্গই প্রথমে আসে। কারণ প্রাথমিকভাবে একটি দীর্ঘ সাদা কাপড়ের টুকরাকে পরবর্তীতে বেলুচরির নামে বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে নামকরণ হয় বালুচরী শাড়ির। মুগলরা যখন ভারতে শাসন করত তখন ঐ সময়কালে বালুচরী শাড়ি বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশরা ভারতে শাড়ি সৃষ্টিকে ধ্বংস করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিল। কিন্তু ইতিহাস তাদের এই সত্যের সাক্ষ্য দেয় যে তারা তাদের প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। ১৮ শতকে বাংলার নওয়াব মুর্শিদকুলী খান ঢাকা থেকেই বেলুচরি শাড়ি তৈরির শিল্প নিয়ে অন্যান্য স্থানে দিয়েছিলেন।
দেশীয় গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বিমানবালাদের মাধ্যমেই আধুনিক ঘরানার শাড়িকে জনপ্রিয় করা হয়েছে। তবে উপমহাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই নিজস্ব ধরনের শাড়ি তৈরি ও জনপ্রিয় হয়েছে যেমন-কাঁথা কাজের শাড়ি, জামদানি শাড়ি, ঢাকাই বেনারসি শাড়ি, রাজশাহী রেশমী শাড়ি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, কাতান শাড়ি, পাবনার শাড়ি।
বর্তমান সময়ে ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র শাড়ি হারিয়ে ফেলছে তার প্রাচীন ঐতিহ্যকে, আকাশ সংস্কৃতির কারণে শাড়ির স্থানে জায়গা করে নিচ্ছে পশ্চিমা ধাচের সব পোশাক যা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের জন্য অশনিসংকেত স্বরূপ।
তাই আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সুরক্ষার তাগিদেই বাংলাদেশের বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার উদ্যোগে, চট্টগ্রামের কালার্স অফ লাইফ এবং ড্রিমার ওমেন্স এর আয়োজনে বাংলাদেশে এই প্রথম ‘বিশ্ব রঙ শাড়ি উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছে ২৯ ও ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে।
বাঙালি নারীর সৌন্দর্য শাড়িতে। শাড়ির প্রতি অবহেলা ও আনীহা দূর করে ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে। নিজেদের যা আছে তাকে বাদ দিয়ে ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা তা শুধু আমাদের পিছিয়েই দিবে না বরং আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেবে শেকড়হীন বৃক্ষের মতো। এই সকল ভাবনাকে নিয়ে বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। আয়োজনে থাকছে শাড়ির ইতিহাস ঐতিহ্যকে নিয়ে গবেষণামূলক প্রদর্শনী, শাড়ি সুন্দরী প্রতিযোগিতা এবং শাড়ি ডিজাইন প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ডিজাইনাররা।
আমাদের এই আয়োজনে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বরঙ শাড়ি উৎসবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি দিয়েছেন স্বনামধন্য অভিনেত্রী শম্পা রেজা, সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত, প্রখ্যাত মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ, দেশবরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহাসহ স্বনামধন্য আরো অনেকে।
আমরা আশবাদী ‘বিশ্বরঙ শাড়ি উৎসব’ আগামী প্রজন্মকে সকল আধুনিকতার পাশাপাশি আমাদের দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করতে পারবে আপনাদের সকলের সহযোগিতায়।
বিডি প্রেস রিলিস/২৯ মার্চ ২০১৯/ এমএম
Posted on জানুয়ারি ৮th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ১st, ২০২৫
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪