নিজস্ব প্রতিবেদক :: বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি। এমন ইতিবাচক ধারণা থেকে বিশ্বের দুই শতাধিক সেলফোন অপারেটর ফাইভজিতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এশিয়ার সেলফোন অপারেটরগুলো ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণে ৩৭ হাজার কোটি ডলার (৩৭০ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করবে। এ নিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অঞ্চলটির সেলফোন অপারেটরগুলো। বৈশ্বিক মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর টেলিকম লিড।
জিএসএমএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ, প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো ও প্রয়োগ এবং ফাইভজিসংশ্লিষ্ট পাইলট প্রকল্পে এ অর্থ বিনিয়োগ করবে এশিয়ার সেলফোন অপারেটরগুলো। আগামী ছয় বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ফাইভজি বাজারের সংখ্যা ২৪টিতে পৌঁছাবে। পরবর্তী ১৫ বছর এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ৯০ হাজার কোটি ডলারের অবদান রাখবে ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক।চীন আগামী বছর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর লক্ষ্য নিয়ে সাংহাইসহ তাদের প্রধান প্রধান শহর এবং রাজ্যগুলোতে ফাইভজির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আগামী ছয় বছরের মধ্যে চীনের ২৮ শতাংশ সেলফোন সংযোগ চলবে ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ সেলফোন সংযোগ ফাইভজি নেটওয়ার্কে চলবে।
জিএসএমএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ছয় বছরে এশিয়ার সেলফোন অপারেটরগুলো নতুন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে মোট ৫৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূলধন বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে শুধু ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করবে ৩৭ হাজার কোটি ডলার। চীন এককভাবে ফাইভজি নেটওয়ার্কে ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।ভারতীয় সেলফোন অপারেটর ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং রিলায়েন্স জিও ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নিয়ে কার্যক্রম জোরদার করেছে। ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে ফাইভজি চালুর জন্য বিনিয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এ অপারেটরগুলো।
গত বছর শেষে বিশ্বব্যাপী সক্রিয় মোট সেলফোন সংযোগের ৫২ শতাংশ ফোরজি নেটওয়ার্কে চলছিল। তবে আগামী ছয় বছরে মোট সেলফোন সংযোগের দুই-তৃতীয়াংশ ফোরজি নেটওয়ার্কে চলবে। এ সময় বিশ্বব্যাপী মোট সেলফোন সংযোগের ১৮ শতাংশ চলবে ফাইভজি নেটওয়ার্কে। ২০১৫ সাল নাগাদ এশিয়ায় প্রতি পাঁচটি সেলফোন সংযোগের চারটি স্মার্টফোন ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহূত হবে, যা গত বছরের চেয়ে ৬১ শতাংশ বেশি।
জিএসএমর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর শেষে এশিয়ায় সেলফোন সাবস্ক্রাইবার ২৮০ কোটিতে পৌঁছেছে, যা অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ। আগামী ছয় বছরে এশিয়ায় সেলফোন সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩১০ কোটিতে পৌঁছাবে, যা অঞ্চলটির জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ হবে। আগামী ছয় বছরে এশিয়ার নতুন সেলফোন সাবস্ক্রাইবারদের সিংহভাগই আসবে ভারত, চীন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন থেকে।
গত বছর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মোবাইল টেকনোলজি এবং সেবা ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টি করেছে, যা অঞ্চলটির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপির সমমান। ২০২৩ সাল নাগাদ জিডিপিতে মোবাইল টেকনোলজি এবং সেবার অবদান ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মোবাইল ইকোসিস্টেম প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালুর লক্ষ্যে সেলফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার শুরুর প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপ। ফাইভজি প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট গতি কয়েক গুণ বেশি পাওয়া যাবে। এর ফলে অনেক দ্রুত ডাটা স্থানান্তরের সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে, যা সেলফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বড় অংকের ব্যবসায় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিডি প্রেস রিলিস / ২৯জুন ২০১৯ /এম আর
Posted on অক্টোবর ৫th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৯th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪