নিজস্ব প্রতিবেদক :: ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড এর প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড টেকনো’র নতুন চমক ক্যামন আই ফোর। মডেলটির মূল আকর্ষণ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা, ৬ দশমিক ২ ইঞ্চিরডট-নচ ডিসপ্লে এবং প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটি।
এপ্রিলের প্রথমে বাজারে আসা ক্যামন আই ফোরইতিমধ্যেই ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাজারে সমসাময়িক অন্যান্য প্রতিযোগী ব্র্যান্ডের নতুন মডেল যেমন স্যামসাং এর এম২০ এবং শাওমি’র রেডমি নোট সেভেন এর তুলনায় সাশ্রয়ী হবার কারণে অনেকটা এগিয়ে রাখা যায় ক্যামন আই ফোর।এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী নতুন মডেলটির স্পেসিফিকেশনসহ বিস্তারিত ফিচার ও পারফরমেন্স নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ভ্যারিয়েশন
টেকনোক্যামন আই ফোর পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভ্যারিয়েশনে
৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি অভ্যন্তরীন মেমরি – যার বাজার মূল্য ১২,৯৯০ টাকা।
৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি অভ্যন্তরীন মেমরি – যার বাজার মূল্য ১৭,৯৯০ টাকা।
ক্যামেরা
ক্যামেরায় বিশেষত্ব নিয়ে প্রথম থেকেই আলোচনায় আছে টেকনো। বাজেট রেঞ্জে টেকনো একটু বেশিই দিয়ে থাকে এমন জনশ্রুতি আছে ক্রেতাদের মাঝে। ক্যামন আই ফোর এ আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা। তিনটি ক্যামেরা তিন ধরনের কাজ করে থাকে। মূল ক্যামেরাটি দেওয়া হয়েছে মাঝেযেটিতে আছে লো-লাইট প্রযুক্তির ১৩ মেগাপিক্সেল যা ১ দশমিক ৮ এপারচারের কারণে ন্যাচারাল ও পরিচ্ছন্ন ছবির নিশ্চয়তা দেয়। উপরেরটিতে ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে যা ১২০ ডিগ্রী ওয়াইড ছবি তুলতে সাহায্য করে। একদম নিচে ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ ক্যামেরা, এটি পোট্রেইট মোডে দারুন ছবির নিশ্চয়তা দিবে। এবার আসা যাক হালের চাহিদা সেলফি ক্যামেরার দিকে, সেলফি ক্যামেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ১৬ মেগাপিক্সেল যা আমাদের চেহারার সামঞ্জস্য বজায় রেখে খুবই আকর্ষণীয় ও পরিচ্ছন্ন ছবি দেয়। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির সেন্সরগুলোতো আছেই।
ডিজাইন
ডিজাইনে আধুনিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ক্যামন আই ফোরএর মিডনাইট ব্ল্যাক ও অ্যাকুয়াব্লু দুটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে। ৬.২” আইপিএস এলসিডি, ক্যাপটিভ টাচ, মাল্টিটাচ সমৃদ্ধ এই মডেলটি নিয়ে এসেছে ওয়াটারড্রপ স্টাইলনচ ডিসপ্লে । এর স্ক্রীন রেজোলুশন ৭২০ * ১৫২০ পিক্সেল। এর দৈর্ঘ্য ১৫৬.৯ মিমি., প্রস্থ ৭৫.৮ মিমি. এবং পুরুত্ব ৭.৯ মিমি.। এর গ্রিপিং কোয়ালিটি অসাধারণ। সহজেই হাতের মধ্যে ধরে রাখা যায়।
পারফরমেন্স
ক্যামেরা ও অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে ভেরিয়েন্ট দুটিতে কোন পার্থক্য না থাকলেও শুধু প্রসেসরে পার্থক্য রয়েছে। ৩জিবি+৩২জিবি ভেরিয়েন্টে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক এ২২ প্রসেসর।এই মডেলটি কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করে যার স্পিড ২ গিগা হার্জ। আর ৪জিবি+৬৪জিবি ভেরিয়েন্টে আছে হেলিও পি২২। এই মডেলটি কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করে যার স্পিড ২ গিগা হার্জ। দুটি প্রসেসরেই ১২ ন্যানোমিটার ট্রানজিট দুরত্বের কারণে পারফর্মেন্সে আমূল পরিবর্তন পাওয়া যাবে। এজন্য ব্যাটারি অধিকতর টেকসই কাজ করে এবং স্থায়িত্বও দীর্ঘ হয়।অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত ক্যামন আই ফোর এ টেকনো’র নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস হাই-ওএস দিয়েছে ব্যবহারের এক ভিন্ন মাত্রা। যারা সাধারণত ব্রাউজিং ও ক্যামেরার পারফর্মেন্সকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তাদের জন্য ক্যামন আই ফোর নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ ফোন।
ক্যামন আই ফোরএ ৩৫০০ মিলি-অ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহারের জন্য এই ব্যাটারির দারুন সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া এইমডেলে আছে লাইট সেন্সর, এ্যাক্সেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর এবং সেই সাথে রিয়ার সাইডে যুক্ত হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। গ্রাহক পাচ্ছেন ডুয়াল সিমের সুবিধা। তবে দুটি সিম স্লটই ন্যানো সিম ধারণযোগ্য।
বিডি প্রেস রিলিস/ ২৭ এপ্রিল ২০১৯/ এমএম
Posted on সেপ্টেম্বর ২৫th, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ২৪th, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ১৫th, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ১৫th, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ৮th, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ২nd, ২০২৩
Posted on সেপ্টেম্বর ২nd, ২০২৩
Posted on আগস্ট ৩০th, ২০২৩
Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩
Posted on আগস্ট ২০th, ২০২৩