নিজস্ব প্রতিবেদক :: দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন লিমিটেড ডাটা সায়েন্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পেশাজীবী টিম তৈরি করেছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালিত এলআইসিটি প্রকল্পের সহায়তায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমআইএসের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই টিম তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল ইজেনারেশনের গুলশান প্রধান কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ এবং সফলভাবে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩০ জনকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। দেশি এবং বিদেশি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে আধুনিক ডাটা সায়েন্স প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে টিমটি বিভিন্ন ডাটা ওয়্যারহাউজিং, ডাটা মডেলিং, ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশন নিয়ে রিয়েল-টাইম প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন ডাটা অ্যানালাইটিক্স, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি) নিয়ে কাজ করা ইজেনারেশন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে এলআইসটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম, ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান ও নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম আশরাফুল ইসলাম প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাটা সায়েন্স অ্যাডভাইজর এ. কে. ফয়েজ উল্লাহ এবং ইজেনারেশনের হেড অব অপারেশন এমরান আবদুল্লাহ।
ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমরা ডাটা সায়েন্স এবং এআই বিষয়ে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন টিম তৈরি করেছি। গত ছয় মাস ধরে টিমটি সরকারি, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, টেলিকম, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করেছে। ডিজিটাল যুগে ডাটা হলো নতুন চালিকা শক্তি। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশগুলো যেমন তাদের তৈল মজুদের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে, অনেকেই দাবি করেন ডাটা অ্যানালাইটিক্স এবং এআই একই ধরনের প্রভাব ফেলবে সেসব দেশ ও কোম্পানির ক্ষেত্রে যারা ডাটাকে কীভাবে বৃহৎ পরিসরে কাজে লাগানো যায় সেটি শিখতে পারে। ইজেনারেশন এর উদ্দেশ্য হলো পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্স এবং এআই প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাকে টেকসই এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সহায়তা করা।
ইজেনারেশন লিমিটেডের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই ইজেনারেশন ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে আসছে। স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরির পরিবেশ, আন্তর্জাতিকভাবে উদীয়মান প্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিংয়ে ভূমিকা রাখে এমন যেকোনো দক্ষতা উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। নতুন এবং উদীয়মান প্রযুক্তিতে পরিবর্তন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বড় সুযোগ এবং ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণে আগামীর নেতৃত্ব যাতে সুযোগকে কাজে লাগাতে এবং ঝুঁকিকে বাড়তে না দেয় সেই প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। আমরা নিশ্চিত যে এফটিএফএল গ্রাজুয়েটরা পেশা অর্থবহ এবং শ্রেষ্টতর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা হবে।
এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো দক্ষ মানবসম্পদের অভাব। তাই এ খাতে কমপক্ষে ৩৪ হাজার দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে এলআইসিটি প্রকল্প। চার হাজার তরুণ আইটি লিডার তৈরিতে এবং তারা যাতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উৎকর্ষ সাধনে কাজ করতে পারে তার জন্য এই প্রকল্পে স্টান্ডার্ড কারিকুলাম এবং সেরা মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি প্রদানের আগে মূল্যায়নের সময় যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার থেকেও অনেক ভালোমানের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে ইজেনারেশন।
বিডি প্রেস রিলিস / ২ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on জানুয়ারি ৮th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ১st, ২০২৫
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪