Follow us

জানলে অবাক হবেন! কেন পাবলিক প্লেসে আমরা নাক খোঁটাই?

222

অনলাইন ডেস্ক :: নাক খোঁটা একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। নাক খুটলে হাতের আঙুলটি যে শুধু নোংরা হয় তাই নয়। নাক খুটলে নাকের ছিদ্রমুখে ক্ষত সৃষ্টি হয়। নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বা সেপ্টামেও ক্ষত সৃষ্টি হয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের এটি একটি কারণ। এ ছাড়া বারবার নাক খুটলে নাকের ছিদ্রতে প্রদাহ হয়ে ঘা হয়। কষ ঝরে ও ব্যথা হয়। এ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় এটি সারতে চায় না। নাক চুলকালে সেখানে ক্রিম লাগানো যেতে পারে।
এ ছাড়া পাবলিক প্লেসে নাক খোঁটানো বেশি বিরক্তিকর এবং বদঅভ্যাস। আর অভ্যাসটা কমবেশি সবারই আছে। কিন্তু কেউ তা স্বীকার করি না। শুধু হাতেনাতে ধরা পড়লেই লজ্জায় মাথা কাটা! আবার তা ভুলতেও সময় লাগে না। কোন ফাঁকে যেন আঙুলটা ঢুকে পড়ে নাকের ছিদ্রে!

সর্বজনস্বীকৃত এই বদ অভ্যাসটি দেখলেই ঘেন্না লাগে। কিন্তু তারপরও আমরা কাজটি করি। কমবেশি প্রায় সবাই। এমনকি চিকিৎসাবিজ্ঞানে নাক খোঁটার বেশ খটমটে একটা নাম আছে—‘রাইনোটিলেক্সোম্যানিয়া’।
এই নাক খোঁটা নিয়ে রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গবেষণাও হয়েছে অনেকবার। ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দুই গবেষক থম্পসন ও জেফারসন উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ডেন অঞ্চলে ১০০০ অধিবাসীকে নাক খোঁটা নিয়ে জানতে মেইল পাঠান। ২৫৪ জনের কাছ থেকে জবাব এসেছিল। উত্তরদাতাদের মধ্যে শতকরা ৯১ শতাংশ নাক খোঁটার কথা স্বীকার করেছিলেন।
এর মধ্যে ১ দশমিক ২ শতাংশ জানান, তারা প্রতি ঘণ্টায় একবার করে নাক খোঁটান। দুজন ব্যক্তি বলেছিলেন, নাক খোঁটার অভ্যাসটা তাঁদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে লক্ষণীয় প্রভাব রাখছে।
২০০০ সালে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের দুই গবেষক চিত্তরঞ্জন আন্দ্রাদে ও বিএস শ্রীহরি নাক খোঁটা নিয়ে গভীরতর গবেষণা চালান। তাদের ধারণা ছিল, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিশোরদের মধ্যে বদ অভ্যাসগুলো বেশি। এ কারণে নাক খোঁটার স্বভাবটা অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আর তাই সমীক্ষার জন্য কিশোরদের বেছে নিয়েছিলেন দুই গবেষক। সেখানেও উঠে এসেছে নাকের ভেতরে আঙুল দেওয়ার এই বিচ্ছিরি অভ্যাসটা যেন মানুষের ডিএনএতে আছে!
নাক খোঁটানো ‘নেশা’র পর্যায়ে পৌঁছালে কিন্তু বিপদ! কেউ কেউ নাক খুঁটিয়ে এমন আরাম পান, সেটা নেশার দিকে চলে যায়। ক্রনিক ‘রাইনোটিলেক্সোম্যানিয়া’য় আক্রান্ত হয়।
আবার অনেক চিকিৎসকের কাছে এই বদ অভ্যাস ‘অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিসঅর্ডার’-এর একটা অংশ। ২০০৬ সালের এক সমীক্ষা থেকে ডাচ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, খোঁটার কারণে নাকের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে। এই রোগটির নাম ‘স্টেফিলোক্সাস অরিয়াস’। কিন্তু বিপদ জেনেও মানুষ কেন নাক খোঁটায়? গবেষকদের মতে, এটা মানুষের স্বভাবত। একধরনের মানসিক পরিতৃপ্তি এনে দেয়। আলস্য প্রকাশেরও লক্ষণ। কোনো কাজ নেই তাই নাক খোঁটাই! আবার এর উল্টোটাও ঘটে। যুক্তি-তর্কের সময় মানুষ নাক খোঁটায়। এমনকি এক হাতে খাচ্ছেন, আরেক হাতে খোঁটাচ্ছেন!
আসলে এই নাক খোঁটার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। অন্তত গবেষকেরা এখনো কোনো কারণ দর্শাতে পারেননি। কিন্তু খনিশ্রমিকের মতো এই খোঁটাখুঁটির যেমন বিপদ আছে, তেমনি দৃষ্টিকটু আর ঘেন্নাও লাগে। সচেতনভাবে কখনোই নাকে আঙুল দেবেন না। তাতে অবচেতনভাবে নাকে আঙুল দেওয়ার অভ্যাসও কমে আসবে ধীরে ধীরে।

ছবি প্রতীকি : সাঈদ রিমন, ফেসবুক থেকে

বিডি প্রেস রিলিস/২০ মার্চ/এসএম)


LATEST POSTS
ডেলের সেরা সল্যুশন প্রোভাইডার স্মার্ট টেকনোলজিস

Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪

বাজার মাতাতে অনার নিয়ে আসছে এআই পোট্রেইট মাস্টার অনার ২০০ এবং

Posted on জুলাই ১৬th, ২০২৪

তিন স্বর্ণসহ সাতটি রপ্তানি পদক পেল প্রাণ-আরএফএল

Posted on জুলাই ১৫th, ২০২৪

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৩৮১তম সভা অনুষ্ঠিত

Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের ভাটিয়ারী উপশাখা উদ্বোধন

Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪

বিকাশের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট ক্যাশলেস লেনদেনে প্রস্তুত করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে

Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪

‘ফুডি’র পথচলা শুরু

Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪

বাজারে শক্তিশালী ব্যাটারি নিয়ে ভিভোর নতুন স্মার্টফোন

Posted on জুলাই ৬th, ২০২৪

বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফি স্টুডিও হারকোর্ট ফিচার নিয়ে আসছে স্মার্টফোন অনার ২০০ সিরিজ

Posted on জুনe ৩০th, ২০২৪

ঈদে অনার স্মার্টফোনে অবিশ্বাস্য ক্যাশব্যাক ও ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি ইন্টারনেট

Posted on জুনe ৮th, ২০২৪