নিজস্ব প্রতিবেদক :: চীন ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে সমঝোতা । চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই চীনের দালিয়ানের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দালিয়ানে দুই দেশের সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম ১৫০ এরও বেশি দালিয়ানের উদ্যোক্তাদের এক সমাবেশে বলেন, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ কারণ বাংলাদেশে বর্তমানে ৪০০টি চীনা কোম্পানির কার্যক্রমের সাথে চীনের ব্যবসাগুলো বিস্তৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশে-চায়না (দালিয়ান) ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশনের এক আলোচনায় শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “পরিবর্তনশীল অর্থনীতির দেশে হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন খাতে আমাদের সযোগিতাগুলোকে আরও জোরদার করা”।
দুই দেশের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সিসিপিআইটি বা চায়না কাউন্সিল ফর দি প্রোমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (দালিয়ান সাব-কাউন্সিল)। এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে চীন সফর করেন। রাজনীতিবিদ, বিনিয়োগকারী, বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এটি সামার ডাভোস নামেও পরিচিত।মঙ্গলবারের এই সেমিনারে সিসিপিআইটি এবং এফবিসিসিআই-এর নেতৃবৃন্দ বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একমত হন।
দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে তুলে ধরতে এবং দুই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে আরও মতবিনিময়ের আয়োজন করতে সিসিপিআইটি এবং এফবিসিসিআই-এর একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়।শেখ ফাহিম বলেন চীনা ব্যবসায়ীরা বিশেষত দালিয়ানের বিনিয়োাগকারীরা, চীনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অ লে বিনিয়োগ করে তাদের ব্যবসায় স্থানান্তর করার সুযোগ করে নিতে পারেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে জ্ঞান বিনিময়, হাইটেকে যৌথ গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রদেশটি ৫৬টি উন্নয়ন অ লের আবাসস্থল।ফাহিম উল্লেখ করেন যে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৬৭.৯ শতাংশ এফডিআই গ্রোথ অর্জন করে ৩.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনের রেকর্ড করে-এটি এমন একটি তথ্য যা বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অগ্রাধিকারযোগ্য স্থান হিসেবে প্রমাণ করছে।তিনি বলেন, “তাই আমি আপনাদেরকে আসতে এবং বিনিয়োগ করতে আহবান জানাচ্ছি”।
উত্তর-পূর্ব চীনের লিওডং উপদ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত লিয়াওনিং অ লের একটি বন্দর নগরী দালিয়ান, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে অপরিচিত। প্রায় ৬ মিলিয়ন অধিবাসীর উপকূলীয় এই অ লটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল এবং বাণিজ্য, শিল্প, সফর এবং বন্দর হিসেবে চীনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে একটি। এটি বিশ্বের প্রায় ৩০০ বন্দরের সাথে সংযুক্ত।
বিডি প্রেস রিলিস / ০৩ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on ডিসেম্বর ১st, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ৩০th, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২৯th, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২৩rd, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২১st, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২১st, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ২০th, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ১৬th, ২০২৩
Posted on নভেম্বর ১৩th, ২০২৩