নিজস্ব প্রতিবেদক :: গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ফ্যাশন শোতে আসমা সুলতানা ফ্যাশন এন্টারপ্রেনার হিসেবে আসমা সুলতানা সাফল্য পেয়েছেন। সময় যতই গড়াচ্ছে, ক্যারিয়ারে যোগ হচ্ছে, একের পর এক নতুন পালক। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মাল্টি ব্র্যান্ড আউটলেট এক্সটেসি ও তার সহযোগি ব্র্যান্ড জোয়ান অ্যাশ অ্যান্ড জারজেইনের প্রধান ডিজাইনার হিসেবে।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চলতি মাসের (৬ এপ্রিল) শুরুর দিকে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ২৫ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দুপুরে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে যাওয়া আসমা সুলতানা। গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ফ্যাশন শোয়ের উদ্দেশ্য হলো, পূর্বের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি করা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবার দুটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে আয়োজনটি। এরমধ্যে একটি, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ফ্যাশন শো আয়োজন করা। অপরটি, সবচেয়ে বেশি দেশের মডেলদের অংশগ্রহণ। আসমা জানান, মাদ্রিদের একটি বিলাসবহুল ক্যাসিনোতে আয়োজিত এবারের আয়োজনটিতে বিশ্বের ৭৫টি দেশের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার ও ৪০০ মডেল অংশগ্রহণ করেছেন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এ কারণে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন জগতের মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্ট নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশ নেন আসমা সুলতানা। এরপর সেখান থেকেই তিনি প্যারিসের আরেকটি আন্তজার্তিক ফ্যাশন ইভেন্টে যোগ দেন। ‘ভালোবাসার শহর’-এ অবস্থান কালেই গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পান, কথার এক প্রসঙ্গে জানান তিনি। এ বিষয়ে আসমা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি গর্বিত। আমার জীবনযাপন ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো প্রভাব বিস্তার করেছে, সে বিষয়গুলোই আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চাই। আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে আমার পরিবার ছাড়া আরও অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে। তারা হলেন আনা উইনটুর, অপরাহ উইনফ্রে, কোকো শ্যানেল, অর্ডে হেপবার্ন, প্রিন্সেস ডায়না, গ্রেস কেলি, বিয়ন্সে ও মিশেল ওবামাসহ আরও অনেকেরই ব্যক্তিজীবন ও পেশাগত জীবনের বেশ কিছু বিষয় অনুপ্রেরক হিসেবে কাজ করেছে। আলাদা করে বলতে গেলে তাদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বগুণের কথা বলতে হবে।’
বহিঃবিশ্বে কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো প্রসঙ্গ এলেই নেতিবাচক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কথা বলা হয় হয়। তবে আসমা চান তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে। এই ফ্যাশন ডিজাইনারের সংযোজন, ‘বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষেরা যা ভাবেন, সেটা পরির্বতন করাই ছিল আমার লক্ষ্য। আমি খুবই খুশি যে, এ যাত্রায় আমি কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারছি। এবং একইভাবে অন্যরাও অবদান রাখছে।’
বিডি প্রেস রিলিস/ ২৭ এপ্রিল ২০১৯/ এমএম
Posted on মার্চ ১৯th, ২০২৫
Posted on মার্চ ১৮th, ২০২৫
Posted on মার্চ ৬th, ২০২৫
Posted on মার্চ ৬th, ২০২৫
Posted on মার্চ ৩rd, ২০২৫
Posted on মার্চ ৩rd, ২০২৫
Posted on মার্চ ৩rd, ২০২৫
Posted on ফেব্রুয়ারি ৬th, ২০২৫
Posted on ফেব্রুয়ারি ৬th, ২০২৫
Posted on জানুয়ারি ৮th, ২০২৫