নিজস্ব প্রতিবেদক :: অ্যামাজনের মার্চেন্ট হিসেবে ওয়ালটন শিগগিরই এ বিষয়ে এমওইউ করতে যাচ্ছে।আমেরিকা-ইউরোপে অ্যামাজনের ওয়্যারহাউজগুলোতে পণ্য পাঠাতে যাচ্ছে ওয়ালটন। সেখান হতে অ্যামাজনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে দেশিয় কোম্পানিটির এসব পণ্য বিক্রির জন্য তোলা হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন আমাজনের এক প্রতিনিধি দল। বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং অ্যামাজনের পক্ষে কোম্পানিটির ইন্টারন্যাশনাল এক্সপানশন বিভাগের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দিপ সাগর। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশিয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. লিয়াকত আলী।
মো. লিয়াকত আলী টেকশহরডটকমকে জানান, বিশ্বে অ্যামাজনের ১৮ টি ওয়্যারহাউজে ওয়ালটনের পণ্য যাবে। সেখান হতে অ্যাম্যাজন ডটকমকে ওয়ালটনের পণ্য বৈশ্বিকবাজারে বিক্রি হবে।প্রক্রিয়াটি কীভাবে হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ধরেন অ্যামাজন ২০০ ল্যাপটপের চাহিদা দিল। ওয়ালটন তার বিপরীতে আমেরিকায় এসব পণ্য পাঠিয়ে দেবে। অ্যামাজন তাদের প্ল্যাটফর্মে তা বিক্রি করে দাম পরিশোধ করবে।
তবে কবে নাগাদ এই রপ্তানি শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও দুই পক্ষই এমওইউ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।‘সাধারণত কোনো পণ্য রপ্তানি করতে গেলে এলসি খোলা, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ, এনবিআর, কাস্টমসসহ ব্যাপক প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি সহজ করে দ্রুত অ্যামাজনের কাছে সরাসরি পণ্য পাঠাতে সরকারের নীতিগত সহায়তার উপর বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করছে’ বলছিলেন মো. লিয়াকত আলী।
তিনি জানান, ওয়ালটনের অনেক পণ্য ক্যাটাগরি রয়েছে যা অ্যামাজনে বিক্রির জন্য যেতে পারে।বুধবার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ওই বৈঠকে ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, নিজেদের ওয়্যারহাউজগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য নিতে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে অ্যামাজন। যাতে স্থানীয় বিক্রেতা ও উদ্যোক্তারা সহজে অ্যামাজনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রি করতে পারে।
বৈঠক শেষে পলক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অ্যামাজনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে দেশের পণ্য বিক্রি করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রফতানি আয় দ্বিগুণ করা সম্ভব হতে পারে। অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের পণ্য আমেরিকা-ইউরোপের ওয়্যারহাউজগুলোতে নিয়ে নিজেদের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করবে। এতে স্থানীয় পণ্য উৎপাদক ও উদ্যোক্তারা যাতে সহজে পণ্য পাঠাতে পারে সেই সুবিধাটিই চাইছে অ্যামাজন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণত কোনো পণ্য রপ্তানি করতে গেলে এলসি খোলা, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ, এনবিআর, কাস্টমসসহ ব্যাপক প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়। ছোট ছোট অনেক উদ্যোক্তাদের পক্ষে এটি সম্ভব হয় না। এই প্রক্রিয়াটি এমনভাবে সহজ করা যাতে এসব উদ্যোক্তারা অ্যামাজনের কাছে সরাসরি পণ্য পাঠাতে পারে।কীভাবে এই প্রক্রিয়া সহজ হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অ্যামাজনের প্রস্তাব দেখেছি। এখন এই বিষয়ে আমাদের নীতি ও কৌশল কেমন হবে সে বিষয়টি দেখছি আমরা। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি কার্যকর পথ বের করা হবে।
বিডি প্রেস রিলিস / ১৯ জুলাই ২০১৯ /এমএম
Posted on নভেম্বর ২৭th, ২০২৫
Posted on অক্টোবর ১৬th, ২০২৫
Posted on আগস্ট ১৯th, ২০২৫
Posted on মে ২৮th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৭th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫
Posted on মে ১৫th, ২০২৫