নিজস্ব প্রতিবেদক :: এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা বড় অংশ ওরাকলের তৈরি ‘অটোনোম্যাস’ (মনুষ্য দ্বারা পরিচালিত নয় এমন যন্ত্র) ডাটাবেজে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ওরাকলের এই ডাটাবেজ এই শিল্পের প্রথম এমন ডাটাবেজ যা নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয় এবং তথ্যের সুরক্ষা দিতে ও নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই বের করতে সক্ষম। ফলে এই ডাটাবেজ ব্যবহারকারীরা একটি অর্থবহ সুসজ্জিত তথ্যের ভান্ডার উপভোগ করতে পারে যা অনেক দ্রুত ও সময়সাশ্রয়ী। চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে ওরাকলের প্রধান কার্যালয়ে ওরাকল ডাটাবেজ ব্যবহারকারী এশিয়ার জনপ্রিয় ১১ টি কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই ডাটাবেজ ব্যবহারের গুরুত্ব ও সুবিধা তুলে ধরেন। এই স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে চীন থেকে বিটমেইন ও কিনগোল্ড, ফিজির ভোডাফোন, হংকং এর মাক্সিম গ্রুপ, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ফার্মাসিজ এন্ড অ্যাপ্লাইড প্রিসিসন মেডিসিন এবং থাইল্যান্ড থেকে ফোর্থ স্মার্ট ও রাঙ্গসিত বিশ্ববিদ্যালয়।
ওরাকলের অটোনোম্যাস ডাটাবেজে ব্যবহার করা হয়েছে গ্রাউন্ড-ব্রেকিং মেশিন লার্নিং এবং অটোমেসান যা এর কার্যক্ষমতা, সুরক্ষা ব্যবস্থা ও নির্ভুলতাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। ফলে এই ডাটাবেজ নিজে থেকেই তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে কোন রকম মানুষের সহায়তা ছাড়াই। ওরাকল অটোনোম্যাস ডাটাবেজ ব্যবহারের সুফলতাগুলো বর্তমান গ্রাহকদের দ্বারা প্রমাণিত। তারা স্বীকার করেছেন এই ডাটাবেজ ব্যবহার করে সুস্পষ্ট পরিবর্তন তারা প্রত্যক্ষ করেছেন। এই ডাটাবেজ ব্যবহার করে অনেক দ্রুত পণ্য বা উদ্ভাবন বাজারজাতকরণ , তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে ব্যবসায়িক নানা সিদ্ধান্তে আসা এবং গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নয়ন করা যায়।
ওরাকল ক্লাউডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ ডায়েভ বলেন, “ওরাকলের ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল পণ্যগুলোর মধ্যে ওরাকল অটোনোম্যাস ডাটাবেজ অন্যতম। আজ আমরা বিশ্বজুড়েই অনেক গ্রাহক ও ব্যবহারকারী দেখতে পাচ্ছি যারা অটোনোম্যাস প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলো অনুধাবন করতে পারছেন। বর্তমানে প্রায় ১০০০ গ্রাহক ওরাকল অটোনোম্যাস ডাটাবেজ ক্রয় করে ব্যবহার করছে এবং এই ডাটাবেজের ট্রায়াল ভার্সনে শুধুমাত্র বছরের শেষ চতুর্থাংশে যুক্ত হয়েছে ৪০০০ গ্রাহক। এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যায় আমরা সময়োপযোগী একটি পণ্য বাজারজাত করতে পেরেছি। এই ডাটাবেজ ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে এমন অনেক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ আছে এই এশিয়ায়।”
ফোর্থ স্মার্টের বিজনেজ ডেভেলপমেন্ট অ্যানালিস্ট পাওয়ারিত রুয়েংসুক স্পিলপ বলেন, “ওরাকল অটোনোম্যাস ডাটাবেজ আমাদের জন্য ছিল একটা গেম-চেঞ্জার। এই ডাটাবেজের মাধ্যমে আমরা দেশজুড়ে ১২০,০০০ টি ভেন্ডিং মেশিন পরিচালনা করি যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২ মিলিয়ন ট্রানজ্যাকশন হয়।”
মাক্সিম গ্রুপের ইনফরমেশন টেকনোলোজি বিভাগের ডিরেক্টর লুইস মাহ বলেন, “আমরা হংকং, ম্যাকাও, মেইনল্যান্ড চায়না ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৭০ টি ব্র্যান্ডের ১৩০০ টি আউটলেট পরিচালনা করি। শুধু হংকং এ প্রতিদিন আমরা ৬ লাখের বেশি ট্রানজ্যাকশন করি যা পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। এই ডাটাবেজ আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে।”
এছাড়াও ওরাকল অটোনোম্যাস ডাটাবেজের সফলতার গল্প শুনিয়েছেন ন্যাশনাল ফার্মাসিজ কর্পোরেটের এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার রায়ান ক্লোজ, কিনগোল্ডের সিআইও স্টিভ চ্যাং, সোহো ও এসএমই রিসার্চের প্রধান অ্যানালিস্ট হোয়াই-জিয়ান তানসহ আরো অনেকে।
বিডি প্রেস রিলিস/৩০ মার্চ ২০১৯/ এমএম
Posted on অক্টোবর ৫th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৪th, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on অক্টোবর ৩rd, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৯th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on সেপ্টেম্বর ২৬th, ২০২৪