নিজস্ব প্রতিবেদক :: উত্তর আমেরিকায় বাজার সম্প্রসারণে ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।‘ভিশন গো-গ্লোবার ২০৩০’ অর্জনে আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করলো ওয়ালটন। বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে এবার উত্তর আমেরিকায় কার্যক্রম শুরু করলো বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠান।এজন্য আমেরিকা ও কানাডাভিত্তিক গৃহস্থালী পণ্যের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এই চুক্তির ফলে আমেরিকা ও কানাডাতে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে।
সম্প্রতি আমেরিকার লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ‘সিইএস-২০২২’ এ ওয়ালটনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওই প্রযুক্তিপণ্যের ওই প্রদর্শনী চলাকালে ওয়ালটন এবং ড্যানবির মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন গ্লোবার বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম। অন্যদিকে ড্যানবি’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার এন্ড্রু রেমন্ড নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
গত শুক্রবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ, ড্যানবি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জিম এসথিল, ওয়ালটনের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আল-ইমরান, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, গ্লোবার বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কায়সার চয়ন প্রমুখ।
জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের বাজার টার্গেট করে ক্রেতাদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করবে ওয়ালটন। বাংলাদেশে তৈরি এসব পণ্য আমেরিকা ও কানাডা অঞ্চলে পরিবেশন ও বিক্রি করবে ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্স। এক্ষেত্রে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতের জন্য এ চুক্তি একটি মাইলফলক। এর ফলে ইলেকট্রনিক্স খাতে আমেরিকা অঞ্চলে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করবে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ওয়ালটন বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতে শিল্পোন্নত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ড্যানবি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জিম এস্থিল তার বক্তব্যে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে ওয়ালটনের তৈরি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। করোনা মহামারি থেকে বিশ্ব মুক্তি পেলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানা ও কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখতে তিনি বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ওয়ালটনের গ্লোবার বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, এই চুক্তি ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য খুব অর্থবহ। এর মাধ্যমে সবাই একটি বার্তা পেল যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ওয়ালটন কতোটা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে আমেরিকা ও কানাডার মতো বাজারে ওয়ালটন তার নিজস্ব পণ্য নিয়ে প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ বর্তমানে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর বিপুল পরিমাণ ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হয়েছে।সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড পণ্য দিয়ে খুব শিগগিরই পুরো বিশ্বের মন জয় করে নেবে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে ওয়ালটনের রপ্তানি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
বিডি প্রেসরিলিস / ১২ জানুয়ারি ২০২২ /এমএম
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on ডিসেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ২৬th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ১৭th, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪
Posted on নভেম্বর ৩rd, ২০২৪